Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চিকিত্‌সক নেই, প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা সিউড়িতে

এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু, তার পরেও বাসিন্দাদের পরিষেবা পেতে যেতে হয় স্থানীয় ওষুধের দোকানে! অভিযোগ, চিকিত্‌সকের অভাবে এমনই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তারই প্রতিবাদে বুধবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালাই ঢুলিয়ে দিলেন এলাকার ক্ষুব্ধ মহিলারা।

ডাক্তার চাই। বুধবার সিউড়ির পুরন্দরপুরে ছবিটি তুলেছেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডাক্তার চাই। বুধবার সিউড়ির পুরন্দরপুরে ছবিটি তুলেছেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৪:১৭
Share: Save:

এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু, তার পরেও বাসিন্দাদের পরিষেবা পেতে যেতে হয় স্থানীয় ওষুধের দোকানে! অভিযোগ, চিকিত্‌সকের অভাবে এমনই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তারই প্রতিবাদে বুধবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালাই ঢুলিয়ে দিলেন এলাকার ক্ষুব্ধ মহিলারা। খবর পেয়ে শেষে ঘটনাস্থলে আসেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ বৃত্তিসুন্দর মল্লিক। তাতেও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। এমনকী, তাতে ‘ডাক্তার চাই’ দাবিতে পোস্টারও সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ বৃত্তিসুন্দরবাবু বিষয়টি নিয়ের্ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে ওই মহিলারা শান্ত হন।

বাসিন্দাদের আভিযোগ, গত এক বছর ধরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্‌সক নেই। অথচ বারবার সংশ্লিষ্ট নানা মহলে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে হয় এলাকার ওষুধের দোকানে না হলে সিউড়িতে জেলা হাসপাতালে তাঁদের যেতে হয়। শীঘ্রই এই পরিস্থিতির বদল চেয়ে প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন পুরন্দরপুর দাসপাড়া মহিলা সমিতির সদস্যেরা। ঝর্না দাল, লক্ষ্মী দাস, সুলেখা দাস এবং ঋতু দাসেরা বিভিন্ন পোস্টার হাতে নিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের ক্ষোভ, “একে তো চিকিত্‌সক নেই। তার উপরে সামান্য ওষুধপত্র নিতে হলেও টাকার বিনিময়ে ওষুধের দোকানে যেতে হয়। বাড়ির কাছে হাসপাতাল থাকলেও কোনও পরিষেবা পাচ্ছি না। সামান্য কাঁটা-ছেড়া হলেও টাকা খরচ করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।” পরে বৃত্তিসুন্দরবাবু বলেন, “ওঁদের অভিযোগ সঙ্গত। সত্যিই চিকিত্‌সকের অভাবে ওখানে কোনও চিকিত্‌সককেই দায়িত্ব দেওয়া যায়নি। শুধু এখানেই নয়, সিউড়ি ২ ব্লকের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও চিকিত্‌সকের অভাব রয়েছে। বিষয়টি সিএমওএইচ-কে জানিয়েছি।” একই কথা শোনা গিয়েছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডলের মুখেও। তিনি বলেন, “জেলাজুড়ে চিকত্‌সকের সঙ্কট রয়েছে। তবে, ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য চিকিত্‌সক দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

এ দিন বিক্ষোভ তুলে নিলেও মহিলারা কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের পনেরো দিনের একটি সময়সীমা দিয়েছেন। তার মধ্যে সমস্যা না মিটলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE