হাসপাতালের বিছানায় ধনীরাম মাহাতো। পাশে ছেলে সুধীর। —নিজস্ব চিত্র।
পেসমেকারের খরচ জোগাড় করে রঙের মিস্ত্রির জীবন বাঁচালেন হাসপাতালের পড়ুয়া-নার্স-চিকিৎসকেরা।
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ধানবাদের ধনীরাম মাহাতো (৫৩) ভর্তি হয়েছিলেন রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানান, তাঁর বুকে পেসমেকার লাগবে। কিন্তু, মাসিক আয় মাত্র কয়েক হাজার টাকা আয়ের রং মিস্ত্রির পক্ষে পেসমেকারের খরচ জোগাড় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য কোথায়?
সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জন সিনিয়র ছাত্র থেকে শুরু করে নার্স ও চিকিৎসকেরা। তাঁরাই চাঁদা তুলে পেসমেকারের খরচ করলেন। সোমবার ধনীরামের বুকে পেসমেকার বসেছে। রিমস-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শুয়েছিলেন ধনীরাম। পাশে বসে ধনীরামের ছেলে সুধীর চন্দ্র মাহাতো বললেন, ‘‘সবাই যে ভাবে এগিয়ে এল তাতে আলাদা করে আর কাকে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না।’’
পেসমেকারের খরচ ছিল ৫০-থেকে ৬০ হাজারের মতো। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক নারায়ণ বলেন, ‘‘আমাদের অনুরোধে পেসমেকার কোম্পানিগুলো অনেক সময় গরিবদের বিনামূল্যে পেসমাকার দেয়। কিন্তু এ বার আমরা তাদের কাছে সাহায্য চাইনি। হাসপাতালের নার্স, জুনিয়র ডাক্তার, মেডিক্যালের ছাত্রেরা চাঁদা দিতেই তো পেসমেকারের খরচ উঠে গেল। এটা সত্যিই এক অভিনব উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy