লগ্ন থেকে চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে বা দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে মাঙ্গলিক বা ভৌমদোষের সৃষ্টি করে। এর ফলে বিবাহিত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী বিবাহ বিচ্ছেদ বা পতিহানি বা পত্নীহানি ও হতে পারে। মাঙ্গলিক পাত্র পাত্রীর জন্য অভিভাবকদের মনে বিশাল চিন্তা থাকে। যার জন্যই বিজ্ঞাপনে মাঙ্গলিক পাত্র পাত্রীর কথা লেখা হয়। লগ্ন বা তনুস্থানে মঙ্গল মানসিক অশান্তি অস্থিরতা দেয়। পতি বা পত্নীহানি এবং আচমকা কোনও দুর্ঘটনা ঘটায়। আবার কিছু কিছু কারণেও মাঙ্গলিক দোষের বিপদ ও কেটে যায়, দেখে নেওয়া যাক কখন কাটে মাঙ্গলিক দোষের বিপদ।
১। সপ্তমপতি শুক্রের সঙ্গে স্থিত হলে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
২। যদি কোনও মেয়ের জন্মছকে যে স্থানে মঙ্গল থাকে ছেলের জন্মছকের ঠিক সেই ঘরেই কোনও পাপীগ্রহ অবস্থান করে তাহলেও মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৩। যদি জন্মছকে শুক্র আর শনি সপ্তমভাবে এক সঙ্গে স্থিত হয় তাহলে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৪। জন্মছকে শনি এবং মঙ্গল একসাথে লগ্নে, দ্বিতীয়, চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে বা দ্বাদশে স্থিত হলে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৫। যদি রাহু ষষ্ঠভাবে স্থিত হয় তবে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৬। জন্মছকে মঙ্গল আর রাহু একসাথে কোনও ভাবে থাকলে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৭। যদি লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম বা দশম ভাবে চন্দ্র স্থিত হয় তখনও মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৮। রাহু যদি লগ্ন, চতুর্থ, দশম ভাবে স্থিত হয় তখনও মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
৯। শনি লগ্ন থেকে দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশভাবে স্থিত হলে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
১০। মেষ এবং সিংহ লগ্নের জন্মছকে মাঙ্গলিক দোষ হয় না।
ক্রমশ....
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy