বিদ্যা থেকে মানুষ যে জ্ঞানলাভ করে, তার মূলত তিনটি স্তর।
প্রথম স্তরের জ্ঞানলাভ করলে মানুষ অহঙ্কারী হয়ে ওঠে, সে মনে করে সে সব কিছুই জেনে ফেলেছে।
দ্বিতীয় স্তরের জ্ঞানলাভ করলে সে বিনয়ী হয়, জানার আগ্রহ তার বেড়ে যায়।
তৃতীয় স্তরের জ্ঞানলাভ করলে, সে নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পারে। অনেক কিছু জানার পরও সে মনে করে যে, সে কিছুই জানে না।
কিন্তু বিদ্যা ও তার পঠনপাঠন থেকে জ্ঞানলাভ ও শিক্ষা আরোহণের এই ক্রমপর্যায়ে, গুরুশিষ্যের পরম্পরা প্রাচীণকালে এক গূঢ় অর্থ বহন করত।কালের অববাহিকাতে এই পরম্পরা অবলুপ্ত প্রায়। শিক্ষা অর্জন এখন নিছকই এক প্রতিযোগিতার মানদণ্ড। আধুনিককালের শিক্ষার্জনে প্রকৃত জ্ঞানলাভ করা হয় কিনা তা খুব বড় তর্কের বিষয়।
শিক্ষায় সাফল্য পেতে করণীয়
১। পড়তে বসলে সর্বদা পূর্বদিকে মুখ করে বসা উচিত এবং পড়ার ঘরে উত্তর পূর্ব(ঈশান কোণ) ফাঁকা, পরিস্কার ও হালকা রাখা উচিত, ভারী আসবারপত্র ও নোংরা আবর্জনা যেন না থাকে।
২। প্রতি শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীর গায়ত্রী মন্ত্রটি লিখে বইয়ের টেবিলে বা আলমারিতে রেখে দিতে হবে।
মন্ত্রঃ- ‘সরস্বতৈ বিদ্মহে ব্রহ্মপুত্রই ধীমোহি তনোনা দেবী প্রচদয়াৎ’।
৩। যাদের স্মৃতিশক্তি কম তারা পরীক্ষার আগে প্রতিদিন ( একটানা নব্বই দিন) তামার ছোট ঘটিতে শুদ্ধ পরিস্কার জলে পাঁচটি তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মুখ ধুয়ে তুলসীপাতা ও জল খেয়ে নেবে।
৪। পড়ায় মনঃসংযোগের অভাব হলে পড়ার টেবিলের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জলভরা কাঁচের বাটি বা গ্লাসে তিনটি অখন্ডিত লবঙ্গ, অল্প গোলাপ জল ও আটটি লাল গোলাপের পাপড়ি রেখে দিতে হবে। প্রতি সাতদিন অন্তর গোলাপ জল ও লাল গোলাপের পাপড়ি পরিবর্তন কতে হবে।
৫। উচ্চশিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য যেকোনও কালো শিবলিঙ্গে কর্পূর সহযোগে অল্প গঙ্গাজল দিয়ে ‘ওঁ নমঃ শিবায়ঃ’ মন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে। এটা যে কোনও শুক্লপক্ষের সোমবার থেকে শুরু করা যেতে পারে।
৬। পরীক্ষাতে সাফল্য পেতে গেলে পরীক্ষার তিন মাস আগে থেকে যেকোনও সবুজ পাত্রে জল ভর্তি করে রাত্রে ঘুমোবার আগে মাথার ঠিক সোজাসুজি কোনও জায়গায় রেখে দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই জল কোনও ফুল গাছের গোড়ায় দিয়ে প্রাতঃক্রিয়া সারতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy