Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে ধর্ষণের হুমকি রুশ নেতার

অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে ধর্ষণের হুমকি

সাংবাদিক সম্মেলনে এক রুশ নেতাকে ইউক্রেনের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তা শুনেই খেপে গিয়ে নিজের দুই সহকারীকে দিয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই সাংবাদিককে ধর্ষণ করার হুমকি দিলেন তিনি। আতঙ্কে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন স্টেলা জুবোভিটস্কায়া নামে ওই সাংবাদিক। ৬৭ বছরের ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি রুশ রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ।

ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি

ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৩
Share: Save:

সাংবাদিক সম্মেলনে এক রুশ নেতাকে ইউক্রেনের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তা শুনেই খেপে গিয়ে নিজের দুই সহকারীকে দিয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই সাংবাদিককে ধর্ষণ করার হুমকি দিলেন তিনি। আতঙ্কে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন স্টেলা জুবোভিটস্কায়া নামে ওই সাংবাদিক।

৬৭ বছরের ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি রুশ রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ডুমায় দু’বার স্পিকার মনোনীতও হয়েছেন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব রাশিয়ার (এলডিপিআর) এই নেতা। এ হেন ঝিরিনোভস্কিকেই ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন স্টেলা। আর সেই অপরাধেই নিজের দুই সহকারীকে স্টেলার উপর আক্রমণের নির্দেশ দেন ঝিরিনোভস্কি। স্টেলার প্রশ্নের কোনও উত্তর তো তিনি দেননি। উল্টে প্রথমেই তিনি দুই সহকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি যখন বলব, ওর দিকে দৌড়ে যাবে আর হিংস্র ভাবে ওকে ধর্ষণ করবে।” রুশ নেতার এই বক্তব্য শুনে তখন স্তম্ভিত সেখানে উপস্থিত বাকি সাংবাদিকেরা। তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ঝিরিনোভস্কি। সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত স্টেলাকে আক্রমণের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “ওকে চেপে ধরো, চুমু খাও।” নির্দেশ শোনা মাত্র নেতার এক সহকারী স্টেলার গায়ে হাত দেন। ধাক্কাধাক্কি শুরুও হয়। এই সময় বাকি সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ করে ওঠেন। এক জন সাংবাদিক বলে ওঠেন, “উনি অন্তঃসত্ত্বা। ওঁর উপর এ ভাবে আক্রমণ হচ্ছে কেন?” তখন ঝিরিনোভস্কি আবার স্টেলাকে উদ্দেশ করে বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা তো এখানে কী করছ? বাড়ি গিয়ে সংসার আর বাচ্চা সামলাও।” আতঙ্কিত স্টেলাকে এর পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাশিয়া জুড়ে। এক জন প্রবীণ নেতা এক অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিকের প্রতি এই ধরনের আচরণ কী ভাবে করতে পারেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। এ দিন সন্ধ্যায় জাতীয় টিভি চ্যানেলে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ঝিরিনোভস্কি।

তবে তাতে চিড়ে অবশ্য ভিজছে না। যে সংবাদমাধ্যমের হয়ে স্টেলা কাজ করেন, তারা ঝিরিনোভস্কির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “ডুমায় আজ যা হয়েছে, তার পর আদালতে যাওয়া ছাড়া রাস্তা নেই। ঝিরিনোভস্কির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE