সমস্যা যেমন রয়েছে, রইল। ন’দিনের ‘নাটকীয়’ সফর শেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। কিন্তু হাতে রইল কী? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচকরা বলছেন, কিছুই না!
না সিদ্ধান্ত হলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে। না বিদেশনীতি নিয়ে মিলল স্পষ্ট দিশা। বিদেশে ঘুরে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ছবি নিয়ে বিতর্ক। শেষ বেলায় আনুষ্ঠানিক কিছু মন্তব্য। সাংবাদিক বৈঠকও এড়ালেন স্বকীয় কায়দায়। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহকারীরাও জানেন না, ন’দিনের বিদেশ সফরের পরে ঠিক কী কী হলো। ট্রাম্প কেবল বললেন, ‘‘অসম্ভব ফলপ্রসূ কিছু বৈঠক হলো। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন সংযোগ দৃঢ় হলো। সত্যি একটা ঐতিহাসিক সপ্তাহ শেষ হলো।’’
জি-৭ বৈঠক শেষে সিসিলির তাওরমিনায় ছয় মিত্র দেশকে ট্রাম্প জানান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তিনি। তাদের আর্জিতে কান না দিয়ে সরাসরি বললেন, তাঁর আরও সময় চাই। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল জানালেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও নিষ্পত্তির দিকে এগনোই গেল না। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ ভেবেছিলেন, বিদেশ সফরের ঠেলায় রুশ-বিতর্ক অন্তত পিছু ছাড়বে কিছু দিনের জন্য। সিসিলি পৌঁছতে পৌঁছতে ফের তাড়া করছে তা। গত শুক্রবার থেকে ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং জামাই জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে রুশ যোগাযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে আর এক প্রস্ত বিতর্ক। নির্বাচন পরবর্তী ডিসেম্বর মাসে মস্কোর সঙ্গে কুশনারের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
তবে ট্রাম্পের সফরের মধ্যে মেলানিয়ার সঙ্গে নানা ‘মুহূর্ত’ শিরোনামে এলেও শেষ বেলায় দরাজ শংসাপত্র দিলেন সেই স্ত্রী-ই। সিসিলির সিগোনেল্লায় মেলানিয়া বললেন, ‘‘এই সফরে আমার স্বামী দারুণ পরিশ্রম করেছেন। আমি ওঁর জন্য গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy