Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
তদন্তে প্রকাশ

ঝাঁপ দেওয়ার মহড়াও দেন লুবিৎজ

রীতিমতো অনুশীলন করে তবেই কো-পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ জার্মানউইঙ্গসের এ৩২০ এয়ারবাসে উঠেছিলেন। যাত্রীদের নিয়ে আল্পসের খাড়াই অঞ্চলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অন্য একটি বিমানে তার মহড়াও সেরে নিয়েছিলেন তিনি। দেখে নিয়েছিলেন কী ভাবে দ্রুত বিমান নীচে নামিয়ে আনা যায়। অ্যান্ড্রিয়াস সম্পর্কে এমন তথ্যই সম্প্রতি উঠে এসেছে ফরাসি তদন্তকারী সংস্থার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে। রীতিমতো অনুশীলন করে তবেই কো-পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ জার্মানউইঙ্গসের এ৩২০ এয়ারবাসে উঠেছিলেন। যাত্রীদের নিয়ে আল্পসের খাড়াই অঞ্চলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অন্য একটি বিমানে তার মহড়াও সেরে নিয়েছিলেন তিনি। দেখে নিয়েছিলেন কী ভাবে দ্রুত বিমান নীচে নামিয়ে আনা যায়।

অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ।

অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ।

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৩:৪৪
Share: Save:

রীতিমতো অনুশীলন করে তবেই কো-পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ জার্মানউইঙ্গসের এ৩২০ এয়ারবাসে উঠেছিলেন। যাত্রীদের নিয়ে আল্পসের খাড়াই অঞ্চলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অন্য একটি বিমানে তার মহড়াও সেরে নিয়েছিলেন তিনি। দেখে নিয়েছিলেন কী ভাবে দ্রুত বিমান নীচে নামিয়ে আনা যায়। অ্যান্ড্রিয়াস সম্পর্কে এমন তথ্যই সম্প্রতি উঠে এসেছে ফরাসি তদন্তকারী সংস্থার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।

ঘটনার তদন্তে নেমে ফরাসি তদন্তকারী সংস্থা, ‘ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস্ অ্যান্ড অ্যানালিসিস’ বুধবার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট থেকেই উঠে এসেছে অ্যান্ড্রিয়াস সম্পর্কে এমন সব বিস্ফোরক তথ্য।

২৪ মার্চ বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে আল্পসের পার্বত্য অঞ্চলে ভেঙে পড়ে জার্মানউইঙ্গসের এয়ারবাস এ৩২০। মৃত্যু হয় ১৫০ জনের। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্ধার হওয়া ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রের্কডার থেকে প্রকাশ্যে আসে যে ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কো-পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস। এমনকী, তখন তিনি যে পাইলটকেও ককপিটে ঢুকতে দেননি, তদন্তে উঠে এসেছে সে তথ্যও।

স্বভাবতই এর পর বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। লুবিৎজের মানসিক অবসাদের কথাও প্রকাশ্যে আসে তখন। জানা যায়, আত্মহত্যার বিভিন্ন উপায় নিয়ে তিনি ইন্টারনেটে পড়াশোনাও করেছিলেন। বুধবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৪ মার্চ যে বিমান প্রথমে ডুসেলডর্ফ থেকে বার্সেলোনা যাচ্ছিল, সেই বিমানেই অনুশীলন চালিয়েছিলেন লুবিৎজ। তবে সেই বিমানের যাত্রীদের ‘ভাগ্য খারাপ ছিল না’ বলেই কিছুটা ওঠানামা করেই ক্ষান্ত হন লুবিৎজ। এবং তা এতই দ্রুততার সঙ্গে করেছিলেন যে বিমানের চালক এবং এয়ার ট্যাফিক কন্ট্রোল— কারও চোখেই পড়েনি তা।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বিমানের উচ্চতা ৩৭ হাজার ফুট থেকে ৩৫ হাজার ফুটে নামিয়ে আনতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরিবর্তে বিমানের উচ্চতা প্রায় মাটির কাছাকাছিও মাঝেমাঝেই নামিয়ে আনেন লুবিৎজ। কিন্তু কী করে এই ঘটনা সকলের নজর এড়িয়ে গেল?

উত্তরে রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসলে এই নামানো ওঠানোর ঘটনাটি লুবিৎজ কখনও কয়েক সেকেন্ডের জন্য আবার কখনও মিনিট তিনেকের জন্য করেছিলেন। আর তা-ও করেন যখন বিমানের চালক প্যাট্রিক সন্ধেমার ছিলেন ককপিটের বাইরে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বার বার ওঠানামার জন্য এই বিমানে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন লুবিৎজ, সেই একই পদ্ধতি তিনি বার্সেলোনা থেকে ফিরতি বিমানেও অনুসরণ করেছিলেন। অর্থাৎ প্রথমটি ছিল নিছক মহড়া। যা শেষমেশ রূপায়িত হয় বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ আসার বিমান যাত্রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE