কোনও পুরুষ চিকিৎসক ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজি রেজা-উল হক এবং এবিএম আলফত নুরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দিয়েছে।
সম্প্রতি বিস্তর বিতর্কের পরে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ধর্ষিতার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’। ধর্ষণের পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে এক জন মহিলা যে ভাবে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের শিকার হন, অনেক দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে সরব বিভিন্ন সংস্থা। সেই প্রেক্ষিতেই এ বছর মার্চে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’টি নিষিদ্ধ করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আজ রায় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ হাইকোর্টও জানিয়েছে, ধর্ষণের পর মেয়েরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। তার পর আবার হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, সকলের কৌতূহলের কেন্দ্র হয়ে ওঠেন ধর্ষিতা। শারীরিক পরীক্ষার নামে দফায় দফায় মহিলাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মহিলা চিকিৎসক থাকলে সেই লাঞ্ছনা থেকে কিছুটা রক্ষা পাবেন তাঁরা।
গত বছর ২০১৩ সালে বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। তার পরই বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন দেশের দুই আইনজীবী। আদালত স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানতে চায়, ধর্ষিতাদের পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো হয় কেন? স্বাস্থ্য দফতর জানায়, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী নগণ্য। তাই পুরুষ চিকিৎসকদেরই ব্যবহার করতে হয়। হাইকোর্ট দেশের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধানকে নির্দেশ দেয়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে যেন খুব দ্রুত মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হয়। তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়।
এত দিনেও রিপোর্ট না পেয়ে ডিভিশন বেঞ্চ স্বাস্থ্য দফতরের প্রধানকে ২০ এপ্রিল আদালতে তলব করে। আজ আদালতে স্বাস্থ্যকর্তা জানান, আদালতের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যে বেশ কিছু হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। তার পরেই এই রায় দেয় হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy