আইএস-এর ব্রিটিশ সদস্য জেহাদি জনের পরিচয় প্রকাশ করল একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম।
আমেরিকার একটি সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে, আইএসআইএস-এর প্রকাশ করা মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিওয় যে মুখ ঢাকা জঙ্গিকে বার বার দেখা গিয়েছে, তাঁর আসল নাম মহম্মদ এমওয়াজি। কুয়েতি বংশোদ্ভূত এই যুবক লন্ডনের বাসিন্দা। সম্ভবত ২০১২ সালে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়া চলে যায় সে। ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলি, স্টিভেন সটলফ, ত্রাণকর্মী অ্যালেন হেনিং, ব্রিটিশ নাগরিক আবদুল ক্যাসিগ, ডেভিড হেইনস এমনকী জাপানের কেনজি গোতোর মৃত্যুর ভিডিওগুলিতে প্রতি বারই সামনে এসেছে এই জঙ্গি। ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংরেজি বলতে দেখা গিয়েছে তাকে। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছিল, জেহাদি জনের আসল পরিচয় গোয়েন্দারা জানতে পারলেও তদন্তের কারণেই তা আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সূত্রে কিছু জানানোর আগেই মার্কিন সংবাদপত্র জেহাদি জনের পরিচয় ফাঁস করে দিল।
মার্কিন ওই সংবাদপত্রের দাবি, লন্ডনের বর্ধিষ্ণু পরিবার থেকে আসা বছর ছাব্বিশের এই যুবক ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে পড়াশোনা করেছে। লন্ডন ছাড়ার আগে রিসার্চ ডিরেক্টর আসিম কুরেশির সঙ্গে শেষ বার যোগাযোগ হয়েছিল অভিযুক্তের। কুরেশির কথায়, “ভিডিও-র ওই যুবকের কথা বলার ধরনের সঙ্গে মিল রয়েছে মহম্মদ এমওয়াজির।” মার্কিন সংবাদপত্রের খবর জানাজানি হতেই এমওয়াজির লন্ডনের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তবে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই যুবকের পরিবারের লোকজন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসদমন শাখার কমান্ডার রিচার্ড ওয়াল্টন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “আমরা আগেই সংবাদ সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করেছিলাম, তদন্তের খাতিরে যাতে এমন কোনও তথ্য প্রকাশ করা না হয়। যদি তারা এ কাজ করে থাকে, তবে তার দায় তাদেরই নিতে হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই তথ্য আদৌ ঠিক কি না, তা তদন্তের অগ্রগতির কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনিক ভাবে জানানো হবে না।
মহম্মদ এমওয়াজির বিষয়ে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই খবরে তারা স্তম্ভিত। এমওয়াজির কয়েকজন বন্ধু দাবি করেছেন, লন্ডন ছাড়ার আগে ক্রমশ মৌলবাদের দিকে ঝুঁকছিল সে। তার পর আচমকাই দেশ ছাড়ে। তবে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রকাশ করা ভিডিওর মুখ ঢাকা জঙ্গির সঙ্গে যে এমওয়াজির চোখের ও কথা বলার ধরনের মিল রয়েছে, তা এক কথায় স্বীকার করেছেন তাঁরাও।
পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস-কে সমর্থন করে নাশকতা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ওই তিন জনের দু’জন উজবেকিস্তানের এবং এক জন কাজাখস্তানের নাগরিক। বয়স ২৪ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা আইএসের সদস্য বাড়ানোর চেষ্টা চালাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy