ফের বেপরোয়া ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী। আক্রমণের লক্ষ্য এ বার ন্যাটো বাহিনী। উত্তর সিরিয়ার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামানো হয় একটি যুদ্ধবিমান। পরে পণবন্দি করা হয় বিমানচালককেও। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সিরিয়ায় ন্যাটোর নজরদারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম কোনও যুদ্ধবিমানের উপর হামলা চালাল আইএস।
উত্তর সিরিয়ার রাকা শহরের ঘটনা। দেশের এক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে প্রথম এই তথ্য মেলে। পরে অপহৃত বিমানচালককে নিয়ে বিজয়োল্লাসের ছবিও ইন্টারনেটে পোস্ট করে আইএস। জানা গিয়েছে, আজকের এই ঘটনায় অপহৃত বিমানচালক জর্ডন সেনার। আমেরিকার নেতৃত্বে আইএস-বিরোধী অভিযানে জর্ডন-সহ সামিল আরবের চারটি দেশ। জর্ডনের তরফে প্রাথমিক ভাবে কোনও বক্তব্য না পাওয়া গেলেও, পরে সেনা কর্তৃপক্ষ জানান, অপহৃত বিমানচালকের নাম মোয়াজ ইওসেফ আল-কাসাসবে।
তবু ধোঁয়াশা কিছু রয়েই গিয়েছে। আইএস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমান নামানোর দাবি করলেও, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আজকের এই ঘটনা কিনা, সন্দেহ প্রকাশ করছে জর্ডনেরই একটা অংশ। তাঁদের দাবি, আইএসের কাছে আদৌ এই ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নেই। তবে ন্যাটোর বিমানে আজই প্রথম হামলা হলেও সিরিয়ার যুদ্ধবিমানে এর আগেও হামলা চালিয়েছে আইএস। তাই আইএসের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার নয়।
জঙ্গিগোষ্ঠীর নিজস্ব ওয়েবসাইটের পাশাপাশি রাকা মিডিয়া সেন্টারের তরফেও পণবন্দি ওই বিমানচালকের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে সাদা টি-শার্ট পরা মোয়াজকে ঘিরে থাকতে দেখা গিয়েছে ১১ জন জঙ্গিকে। বেশির ভাগেরই মুখ মুখোশে ঢাকা। জলের উপর দিয়ে প্রায় নগ্ন করেই তাঁকে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায় জঙ্গিরা। প্রকাশ পেয়েছে সেই ছবি। অপহৃত বিমানচালকের পরিচয়-পত্রও ক্যামেরার সামনে তুলে ধরে জঙ্গিরা। ছেলের মুক্তি চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন মোয়াজের বাবা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকের ঘটনা সম্পর্কে জানার পর টনক নড়েছে ওয়াশিংটনেরও। তবে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy