Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন ভোটে নিশানায় ১৩ রুশ, ৩ সংস্থা

হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে তাঁর হোয়াইট হাউস দখলে রাশিয়ার হাত থাকার কথা বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার অবশ্য জানিয়ে দিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্তত ৩ বছর আগে থেকে মার্কিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে মস্কো।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share: Save:

হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে তাঁর হোয়াইট হাউস দখলে রাশিয়ার হাত থাকার কথা বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার অবশ্য জানিয়ে দিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্তত ৩ বছর আগে থেকে মার্কিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে মস্কো। পরিচয় ভাঁড়িয়ে মার্কিন ভোটের তথ্য হাতানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার ৩টি সংস্থা এবং ১৩ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে। গত কাল প্রকাশিত এই আংশিক তদন্ত রিপোর্ট ঘিরে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে সর্বত্র।

তবে রিপোর্টে যে হেতু সরাসরি ট্রাম্পকে সমর্থনের ইঙ্গিত নেই, রিপাবলিকানরা তাই খোশমেজাজেই। আজ ট্রাম্প নিজেই টুইট করে বলেন, ‘‘আমি ভোটে নামার বহু আগে থেকেই আমেরিকা-বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে সেটা যে মার্কিন ভোটে কোনও প্রভাব ফেলেনি, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। আমি আবারও বলছি, আমার প্রচার শিবির থেকে কেউ কোনও অন্যায় করেননি।’’

কাল সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত আমেরিকার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টাইন জানান, কোনও মার্কিন নাগরিকই জেনেবুঝে এই জালিয়াতিতে যুক্ত বলে প্রমাণ মেলেনি। যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই রাশিয়ার নাগরিক। অভিযোগ, এঁরা নিজেদের নাগরিকত্ব লুকিয়ে ‘মার্কিন’ সেজে থাবা বসিয়েছেন দেশের কম্পিউটার সিস্টেমে।

অভিযোগ, আর্থিক জালিয়াতির পাশাপাশি ক্রমাগত এঁরা রাজনৈতিক তথ্য পাচার করেছেন রাশিয়ায়। মস্কোর একাধিক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাও এতে জড়িত বলে সন্দেব এফবিআই ও মার্কিন বিচার বিভাগের। তদন্ত রিপোর্টে একটি ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থারও নাম রয়েছে। অভিযোগ, মাসে ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি খরচ করে এরা অনৈতিক ভাবে মার্কিন সার্ভারের ভাগ নিয়ে ভোটে হস্তক্ষেপ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি, রাজনৈতিক মিছিলেরও আয়োজন করেছে অভিযুক্ত সংস্থাগুলি।

প্রাথমিক ভাবে রাশিয়া অবশ্য আমেরিকার সব অভিযোগ উড়িয়ে গিয়েছে। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাত্র ১৩টা লোক আর ৩টে সংস্থা মিলে আমেরিকার যাবতীয় নিরাপত্তা, গোপনীয়তা তছনছ করে দিল— এমন অভিযোগ হাস্যকর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE