Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রাণ বাঁচাতে ওঠা বাসেই গাড়িবোমা বিস্ফোরণ, সিরিয়ায় হত শতাধিক

৭৫টি বাসের কনভয় দাঁড়িয়ে ছিল উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার রাশিদিনের কাছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাতে থাকা আলেপ্পোয় ঢোকার অপেক্ষায়। হঠাৎ সেই বাসের সারিতে ঘটল বিস্ফোরণ।

বিনাশ: বিস্ফোরণের পরে। শনিবার। আলোপ্পোর প্রবেশ পথে। সিরিয়ার আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্তদের সরিয়ে নেওয়া হবে হিংসা থেকে দূরে কোনও আশ্রয়ে। সেই আশায় বাসে চড়ে আলেপ্পোর কাছে রাশিদিনে জড়ো হয়েছিলেন কেফ্রায়া ও আল-ফোয়ার এই বাসিন্দারা। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

বিনাশ: বিস্ফোরণের পরে। শনিবার। আলোপ্পোর প্রবেশ পথে। সিরিয়ার আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্তদের সরিয়ে নেওয়া হবে হিংসা থেকে দূরে কোনও আশ্রয়ে। সেই আশায় বাসে চড়ে আলেপ্পোর কাছে রাশিদিনে জড়ো হয়েছিলেন কেফ্রায়া ও আল-ফোয়ার এই বাসিন্দারা। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদসংস্থা
আলেপ্পো শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫০
Share: Save:

৭৫টি বাসের কনভয় দাঁড়িয়ে ছিল উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার রাশিদিনের কাছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাতে থাকা আলেপ্পোয় ঢোকার অপেক্ষায়। হঠাৎ সেই বাসের সারিতে ঘটল বিস্ফোরণ। নিহত হলেন অন্তত ১০০ জন। আহত ৫৫। ওই বাসগুলিতে চাপিয়েই সরানো হচ্ছিল আপাতত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা দু’টি গ্রামের শিয়া মতাবলম্বী গ্রামবাসীদের। সরকারপন্থীদের দখলে থাকা এলাকায় বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহীদের এলাকায় থাকা সরকারপন্থী মানুষজনদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে সবে গত কাল। সে দিনই এ নিয়ে বিদ্রোহী এবং সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু তার পর দিনই এই হামলার ঘটনায় সেই চুক্তির ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে। সিরিয়ায় কর্মরত একাধিক মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে ৪৩ জনের প্রাণ গিয়েছে। তবে মার্কিন সূত্রের দাবি, নিহতের সংখ্যা ১০০।

ঠিক কী ঘটেছে এ দিন?

আরও পড়ুন: কিমের পাল্টা চাপ, আরও চড়ছে পারদ

বিদ্রোহীদের দখলে থাকা কেফ্রায়া ও আল-ফোয়া গ্রামের অন্তত ৫০০০ শিশু ও নারী-পুরুষ বাসে চেপে রওনা হয়েছিলেন আলেপ্পোর উদ্দেশে। শহরের অদূরে রাশিদিনে থামে ওই কনভয়। সাময়িক বিরতির পরে ভিটেছাড়া মানুষগুলি বাসে ওঠার সময় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যে বিদ্রোহীরা পাহারা দিয়ে তাঁদের আনছিলেন তাঁদেরও অনেকে মারা যান। পরে বাকিদের আলোপ্পোয় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই এলাকায় আল কায়দা সক্রিয় থাকলেও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Syria Attack Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE