তিনি যেমন গণিত-নির্ভর অর্থনীতি চর্চায় দক্ষ, তেমনই বাস্তব দুনিয়ার প্রতিও মনোযোগী। অর্থনীতির তত্ত্বের সঙ্গে বাস্তব জীবনের কী সম্পর্ক, সে বিষয়ে অনেক তাত্ত্বিকই যথেষ্ট চিন্তিত নন। জঁ তিরোল সেই হিসেবে স্বতন্ত্র। এবং সেই কারণে তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ বিশেষ ভাবে আনন্দের সোমবার এই ভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন অমর্ত্য সেন।
অধ্যাপক সেনের মতে, তিরোল অবশ্যই এই পুরস্কারের এক জন যোগ্য প্রাপক। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) অর্থনীতি চর্চার যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ধারা তৈরি হয়েছিল, তিনি সেই ধারার কৃতী অর্থনীতিবিদ।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে দু’দিনের জন্য ভারতে এসেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। এ দিন তিনি পটনা থেকে বললেন, “ফ্রান্সের তুলুজ স্কুল অব ইকনমিক্স ইউরোপে অর্থনীতি চর্চার প্রথম দু’টি প্রতিষ্ঠানের একটি। একে লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর সমান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা যায়। এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ জঁ-জাক লাফোঁ-র অকালপ্রয়াণের পরে জঁ তিরোল এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই কাজটি তিনি খুবই কৃতিত্বের সঙ্গে পালন করে চলেছেন।”
তাঁর আরও বক্তব্য, ইউরোপে এখন পরিচ্ছন্ন অর্থনৈতিক চিন্তার বেশ অভাব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিরোলের নোবেল প্রাপ্তি খুবই ভাল খবর, কারণ তিনি তাঁর কাজে যুক্তিনির্ভর পরিচ্ছন্ন চিন্তার স্পষ্ট পরিচয় দিয়ে এসেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন তত্ত্বে তিনি বড় কাজ করেছেন এবং নতুন একটা ধারার সূচনা করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর নিয়েও তাঁর ভাল কাজ আছে। ‘গেম থিয়োরি’তে চমৎকার কাজ করেছেন। অধ্যাপক সেনের মতে, নোবেল পুরস্কারের সবচেয়ে বড় গুরুত্ব এইখানে যে, যিনি এই পুরস্কার পান, তাঁর কাজ নিয়ে এবং তাঁর কাজের বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনা হয়। আশা করা যায়, এ ক্ষেত্রেও তা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy