দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকোব জুমা। ছবি: রয়টার্স।
এক দিকে তাঁর নিজের দলই তাঁকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানোর প্রায় সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। আর অন্য দিকে, তাঁর ঘনিষ্ঠ ভারতীয় ব্যবসায়ী পরিবার গুপ্তদের বিলাসবহুল বাড়িতে আজ ভোর থেকে তল্লাশি চালালেন পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসারেরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গুপ্ত পরিবারের এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোট ধৃতের সংখ্যা তিন। সব মিলিয়ে এখন সাঁড়াশি চাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকোব জুমা।
৭৫ বছরের প্রেসিডেন্টকে কার্যত আর এক দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তাঁরই দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। আজ রাতের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইস্তফা না দিলে, পার্লামেন্টে তাঁর বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। দুর্নীতি, আর্থিক তছরূপ, স্বজনপোষণের একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে জুমার বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছে গুপ্ত পরিবারের। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসনের প্রায় শেষের দিকে ভারত ছেড়ে এ দেশে এসে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন তিন গুপ্ত ভাই। অতুল, রাজেশ আর অজয়। খনি থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম। বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, জুমা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছিলেন গুপ্ত ভাইয়েরা। বিরোধীরা বলতে শুরু করেছিলেন, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে গুপ্ত পরিবার।
আজ সকালে জোহানেসবার্গের অভিজাত স্যাক্সনউল্ডে গুপ্তদের বিলাসবহুল প্রাসাদে ঢুকতে শুরু করে একের পর এক পুলিশের গাড়ি। বাড়ির এক সদস্যকে হেফাজতে নেওয়া হয়ছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। স্যাক্সনউল্ডের এক বাসিন্দা গুপ্তদের বাড়ি তল্লাশির খবর শুনে বললেন, ‘‘অনেক হয়েছে। এ বার ওরা আমাদের দেশটা ছাড়ুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy