আশপাশে শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে। আর শত্রুদের নিশ্বাস ঘাড়ের ওপর আরও বেশি করে পড়তে চলেছে বুঝে এ বার পরিণতি ভাল না হওয়ার হুমকি দিল চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াঙ বুধবার বলেছেন, ‘‘এই অঞ্চলে তুমুল অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এর ফল কিন্তু মোটেই ভাল হবে না।’’
চিনের লক্ষ্যটা আসলে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। দিনকয়েক আগেই জাপানের উপকূল লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সে কথা জানানোর পর ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়াকে কিছুটা সমঝে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। মঙ্গলবারই আমেরিকা জানিয়ে দেয়, উত্তর কোরিয়া যে ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে আর তা বিভিন্ন দেশের দিকে ছুঁড়ে পরীক্ষা করে দেখছে, তাতে ওই এলাকার শান্তি ও সুস্থিতি নষ্ট হতে পারে। তা যাতে না হয়, সে জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় একেবারে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে চায় আমেরিকা। আর তা খুব শীঘ্রই করা হবে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতে প্রথম আইএস হানা, এক মাসেই আরও বড় বিস্ফোরণের ছক ছিল!
এই ঘোষণার পরেই আসে চিনের প্রতিক্রিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু হলে ওই এলাকায় চিনের কর্তৃত্ব কিছুটা খর্ব হবে আর বিঘ্নিত হবে তার নিরাপত্তা, এই আশঙ্কায় বুধবারই পাল্টা হুমকি দেয় চিন।
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াঙ বলেন, ‘‘তা হলে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বইকি! আর তার পরিণতি খুব ভাল হবে না। খেসারতটা আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকেই দিতে হবে। আমরা অনুরোধ করব, ওই দু’টি দেশ যেন ভুল পথে আর বেশি দূর না এগোয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy