চনমনে: ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।
দিব্যি আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বহাল তবিয়তে। একাত্তরের ডোনাল্ড ট্রাম্প সসম্মানে পাশ করে গেলেন বোধ-বুদ্ধি আর জ্ঞানের পরীক্ষাতেও। তিরিশে তিরিশ!হোয়াইট হাউসে আসার পরে শুক্রবারই তাঁর প্রথম শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেনা-ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে পাক্কা ৩ ঘণ্টা ধরে। ধরাবাঁধা নিয়ম কিছু ছিল না। ট্রাম্প তবু নিজেই তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য যাচাইয়ের কথা বলেন। যাবতীয় পরীক্ষার ফল হাতে নিয়ে কাল হোয়াইট হাউসে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক রনি জ্যাকসন জানালেন— প্রেসিডেন্ট ফিট। স্বাস্থ্য ‘চমৎকার’। উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ওজন ১০৮ কিলোগ্রাম। স্বাভাবিক হৃদ্যন্ত্র। স্নায়বিক কোনও সমস্যাও ধরা পড়েনি প্রেসিডেন্টের। শুধুই এই ওজনটাই যা একটু কমালে ভাল।
আর ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠদের দাবি, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এ ভাবেই পুরো মেয়াদটা কাটিয়ে দেবেন তিনি। তা হলে যে লেখালেখি হচ্ছিল, ট্রাম্প আদৌ সুস্থ নন! তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁকে ‘পাগলাটে বুড়ো’ পর্যন্ত বলেছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। যদিও রিপোর্ট বলছে, সব ঠিক। এখনও তাঁর টনটনে জ্ঞান।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প কি নিজেই এ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন? না হলে, খামোখা ‘মন্ট্রিল কগনিটিভ অ্যাসেসমেন্ট’ করাতে গেলেন কেন! সাধারণত অ্যালঝাইমার্স রোগী বা এতে আক্রান্ত সন্দেহে এই পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। ট্রাম্প অবশ্য প্রেসক্রিপশনের তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যান। আজ রিপোর্ট দেখে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জ্যাকসন বলছেন, ‘‘এই পরীক্ষায় প্রেসি়ডেন্টের তিরিশে তিরিশ পাওয়া তো স্বাভাবিক। আমি রোজ তাঁকে যেমনটা দেখছি, তাতে কখনও কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। কখনও তাঁকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যেও দেখিনি। প্রত্যেকটা সকাল প্রেসিডেন্টের কাছে নতুন। বরাবর তিনি চনমনেই।’’
তবে ১০৮ কিলোগ্রামটা যে ঝরানো দরকার, তা মানছেন ট্রাম্প নিজেও। জ্যাকসনের দাবি, এ বছরের মধ্যেই ৪.৫ থেকে ৬ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন কমাতে রাজি হয়েছেন প্রেসি়ডেন্ট। ভরসা ডায়েট, কিঞ্চিৎ ওষুধ আর শারীরিক কসরতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy