সামরিক খাতে বরাদ্দ যে ভাবে বাড়াচ্ছেন শি চিনফিং, তা নজর কাড়ছে গোটা বিশ্বেরই। —প্রতীকী ছবি / রয়টার্স।
প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বিপুল বাড়াল চিন। গত বছরের তুলনায় ৮.১ শতাংশ বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হল সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। চিনের জাতীয় আইনসভা ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসে (এনপিসি) পেশ হতে চলেছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিপুল বরাদ্দে সিলমোহর পড়বে।
যে পরিমাণ অর্থ প্রতিরক্ষা খাতে এ বার বরাদ্দ করছে চিন, তাতে চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় চার গুণ দাঁড়াচ্ছে। প্রতিরক্ষা খাতে ভারত বরাদ্দ করেছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চিনের বরাদ্দ সাড়ে ১৭ হাজার কোটি ডলার।
প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রতি বছরই বাড়ায় চিন। কিন্তু বৃদ্ধির পরিমাণ গত দু’বছরের তুলনায় এ বার বেশি। ২০১৬ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৭.৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে বাড়ানো হয়েছিল ৭ শতাংশ। এ বার বৃদ্ধির পরিমাণ এক লাফে ৮.১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আজীবন প্রেসিডেন্ট! ইঙ্গিতে জল্পনা
গত বছর চিন প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করেছি ১৫ হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওই হিসেব ঠিক নয়। সশস্ত্র বাহিনীর পিছনে যে ভাবে জলের মতো খরচ করছে চিন, তাতে প্রতিরক্ষা খাতে এক বছরের খরচ ১৫ হাজার কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ থাকার কথা নয়। একটি এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার চিন বানিয়ে ফেলেছে। আরও দু’টি তৈরি হচ্ছে। চিনা নৌসেনায় রণতরীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিপুল ব্যয়ে জে-২০-র মতো স্টেল্থ ফাইটার তৈরি করা হয়েছে। এত রকম প্রকল্প একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং তার পাশাপাশি সুবিশাল সশস্ত্র বাহিনীর দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ দরকার, তা ঘোষিত বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এ বছর ব্যয়-বরাদ্দ যে ভাবে আরও অনেকটা বাড়ানো হল, তাতে চিনের সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিকে কড়া বার্তা হ্যানয়ের
প্রতিরক্ষা খাতে এই বিপুল বরাদ্দকে অবশ্য ছোট করে দেখানো হচ্ছে চিনের তরফে। চিনা আইনসভা এনপিসি’র মুখপাত্র ঝাং ইয়েসুই দাবি করেছেন, চিনের জিডিপি-র খুব সামান্য একটা অংশই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়। চিনে প্রতিরক্ষা খাতে মাথাপিছু ব্যয় অন্য বড় দেশগুলির তুলনায় কম বলেও ইয়েসুই জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy