হংকংয়ের রাস্তায় অভিনব প্রতিবাদ। ছবি: এএফপি।
আপনি কি মহিলা? রাস্তায়, ট্রেনে, বাসে ভিড়ের চাপে অস্বস্তিতে তো পড়েছেন অনেক সময়। হয়ত হেনস্থাও হয়েছেন। তখন কি প্রতিবাদ করলে কটূক্তি শুনতে হয়েছে আপনাকে? আপনারই অঙ্গকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন আপনার সহযাত্রীরা? এমন পরিস্থিতিতে ঝামেলা এড়াতে পাশ কাটিয়ে যান অনেকেই। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন না হংকংয়ের প্রায় ২০০ জন মানুষ। একটি সাধারণ মেয়ের পাশে দাঁড়াতে অন্তর্বাস পরে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হলেন। ‘মহিলাদের বুক অস্ত্র নয়। শরীরের সাধারণ একটি অঙ্গ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নামলেন প্রকাশ্য রাস্তায়।
ঘটনাটি ঠিক কী? হংকংয়ের এক সাধারণ মহিলা না-লাই-ইয়ং গত মার্চে পুলিশি হেনস্থার শিকার হন। অভিযোগ, একটি প্রতিবাদ মিছিলে চিফ ইন্সপেক্টর চ্যান কা পো তাঁর বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। চ্যানের দাবি ছিল, ওই মিছিলে ইচ্ছে করেই তাঁর দিকে নিজের বুক এগিয়ে দিয়েছিলেন ইয়ং। তিনি ইয়ংয়ের ব্যাগ ধরে টেনেছিলেন। আর তখনই অসাবধানে ইয়ংয়ের বুকে হাত পরে যায় তাঁর। শেষ পর্যন্ত চ্যানের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই আদালত উল্টে না-লাই-ইয়ংকে দোষী সাব্যস্ত করে। গত বৃহস্পতিবার ইয়ংকে তিন মাস ১৫ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তার বিরুদ্ধেই রবিবার ওয়ান চাইয়ে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে এই অভিনব ‘ব্রেস্ট ওয়াক প্রটেস্ট’এ সামিল হন সাধারণ মানুষ।
শুধু চিনই নয়, সমগ্র বিশ্বের মহিলারাও জানেন কীভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোক্ষে উঠে আসে নিজের অঙ্গকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ। কীভাবে প্রতি পদে হেনস্থার শিকার হলেও মহিলাদের বিরুদ্ধেই আঙুল ওঠে। যে ভাবে তুয়েন মুন আদালতে বিচারক মিশেল চ্যাল পিক কিউ ওই পুলিশ অফিসারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য ইয়ংকেই দায়ী করেন। আদালতের দাবি, মহিলা হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন ইয়ং। তাঁর বুককে এক্ষেত্রে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন তিনি।
‘ব্রেস্ট ওয়াক প্রটেস্ট’এ আদালতের এই দাবিকেই হাস্যকর বলা হয়েছে। প্রতিবাদে সামিল সমাজকর্মী চিউক লিঙ্গ জানিয়েছেন, ‘‘এভাবে মহিলাদের দায়ি করা আর কতদিন চলবে? মহিলাদের বুক কখনও তাঁদের অস্ত্র হয়ে পারে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy