বড়সড় একটা ধাপ পেরলো ব্রেক্সিট আলোচনা। এ মাসের ১৪-১৫ তারিখ ব্রেক্সিট নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর শীর্ষ নেতাদের। সেখানে আলোচনা হবে ‘ডিভোর্স বিল’, অর্থাৎ ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ-এর খসড়া চুক্তি নিয়ে। কিন্তু কাল পর্যন্ত সেই ‘ডিভোর্স বিল’ নিয়ে ব্রিটেন যথেষ্ট অনমনীয় মনোভাব দেখিয়ে আসছিল। ফলে অসন্তোষ বাড়ছিল ইইউ-কর্তাদের।
অসন্তোষের আঁচ পেয়েই আজ ভোরে তড়িঘড়ি ব্রাসেলস ছোটেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। সকালেই তিনি বৈঠক করেন ইইউ প্রধান জঁ-ক্লদ জুনকারের সঙ্গে। দু’জনের কী কথা হয়েছে, তা প্রকাশ করা না-হলেও বৈঠকের পরে জুনকার বলেন, ‘‘ডিভোর্স বিল নিয়ে সন্তোষজনক কথাবার্তা হয়েছে।’’
গত সোমবারই ব্রেক্সিট নিয়ে কথা বলতে ব্রাসেলসে গিয়েছিলেন টেরেসা। আলোচনায় বসেছিলেন জুনকার এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে। কিন্তু সে দিন কথাবার্তা বিশেষ এগোয়নি। কারণ হিসেবে মে-র অনমনীয় মনোভাবকেই দায়ী করেছিলেন ইইউ-কর্তারা। মে-র দাবি ছিল, বাণিজ্যে ব্রেক্সিটের কোনও প্রভাব পড়া চলবে না। অর্থাৎ, এখন যেমন ইইউ-এর অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চালায় ব্রিটেন, ব্রেক্সিট হওয়ার পরেও সেটাই চলবে। মে-র এই দাবি মানতে রাজি হয়েছিলেন জুনকারেরা। তবে তাঁদের পাল্টা শর্ত ছিল, ব্রেক্সিট নিয়ে অন্য সব ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে হবে ব্রিটেনকে। তাতেই দু’পক্ষের মধ্যে বিতর্ক বেঁধে যায়। বানচাল হয়ে যায় কথা।
এ রকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়— উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত সমস্যা। উত্তর আয়ারল্যান্ড বহু দিন ধরেই ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। ব্রেক্সিট সিদ্ধান্তের পরে তাদের দাবি আরও প্রবল হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজকের আলোচনায় উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে সহমত হয়েছেন মে-জুনকার। ফলে অনেকটাই কেটেছে ব্রেক্সিট জট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy