ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের রায় যেন আসলে ‘বিগ ব্যাং’!
ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় যে মহা-বিস্ফোরণ হয়েছিল!
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও যে আলোড়ন এখনও থামেনি স্টিফেন হকিঙের দেশ ব্রিটেনে। গণভোটের ফলাফল ঘিরে এক দিকে জয়ের তুমুল উল্লাস। অন্য দিকে, যাঁরা চেয়েছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হয়েই থেকে যাক ব্রিটেন, সেই শিবির একেবারেই বিমর্ষ। বিষাদগ্রস্ত। উল্লাস আর বিষাদের ‘কোলাজ’-এর মধ্যেই আজ দ্বিতীয় বারের জন্য গণভোটের দাবি উঠল ব্রিটেনে। সেই দাবিতে শুরু হল গণস্বাক্ষর অভিযান। যাতে ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর করেছেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। স্বাক্ষরকারীদের দাবি, এই গণভোটকে বাতিল ঘোষণা করা হোক। দ্বিতীয় বার গণভোট নেওয়ার জন্য শুরু হোক প্রস্তুতি, তোড়জোড়।
ওঁরা চাননি ব্রেক্সিট।
কোন যুক্তিতে এই গণভোটকে বাতিল ঘোষণা করা যেতে পারে, তারও উপায় বাতলে দিয়েছেন স্বাক্ষরকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই গণভোটের নিয়মকানুন সংশোধন করা হোক। হোক তার কিছু পরিমার্জন, পরিবর্ধন। ৬০ শতাংশের চেয়ে কম সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যে ভোটের ফলাফল চূড়ান্ত হয় আর যে ভোটে ৭৫ শতাংশের কম মানুষ অংশ নেন, সেই ভোটের কোনও বৈধতা থাকতে পারে না। তাকে বাতিল ঘোষণা করার জন্য নিয়মকানুন সংশোধন করা হোক। শুধুই কোনও দাবি নয়, ওই আর্জি জানিয়ে একটি পিটিশনও জমা পড়েছে সন্ডনের একটি আদালতে। পিটিশনটি করেছেন জনৈক ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম অলিভার হিলে। গণস্বাক্ষরকারীদের বড় অংশটি থাকেন লন্ডন, ব্রাইটন, অক্সফোর্ড, কেম্ব্রিজ ও ম্যানচেস্টারে। ব্রিটেনের রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণস্বাক্ষরকারীদের তালিকার যা বহর, তাতে বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন- ইইউ-তেই থাকুক ব্রিটেন, চেয়েছিল তরুণ প্রজন্ম
ওঁরা যেন বড় কোনও যুদ্ধে জিতে গিয়েছেন!
লক্ষ্যণীয়, সদ্য শেষ হওয়া গণভোটে সামিল হয়েছিলেন ব্রিটেনের মোট নাগরিকের ৭২ শতাংশ। আর সেই ভোটের ফলাফলও হয়েছে খুবই সামান্য ব্যবধানে। ব্রেক্সিটের পক্ষে পড়েছে ৫১.৯ শতাংশ ভোট। আর তার বিপক্ষে পড়েছে ৪৮ শতাংশ ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy