সন্দেহের তির তাদের উপরই ছিল। হামলার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দায় স্বীকার পর্বটাও সেরে ফেলল তারা। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে হামলার ঘটনায় তাদেরই সেনা ‘শহিদ’ হয়েছে বলে আজ দাবি করেছে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস।
এর কিছু ক্ষণ আগেই যদিও হাউস অব কমন্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জানিয়ে দিয়েছিলেন, হামলাকারী ছিল ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এবং গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-ফাইভের নজরেও ছিল সে। আজ বিকেলের দিকে ওই জঙ্গির নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করে দেয় লন্ডন পুলিশ। তার নাম খালিদ মাসুদ। বয়স ৫২। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কেন্টে জন্মেছিল খালিদ। তবে গত কয়েক বছর ধরে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে থাকছিল সে। একাধিক নামে পরিচিতও ছিল জঙ্গি খালিদ। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সূত্রে পরে জানা যায়, অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ খালিদের অবশ্য উগ্র মৌলবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়ায়নি কখনও। কে, কী ভাবে তাকে আইএস ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করেছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভিতরের বিদ্বেষই বেরিয়ে আসছে, বলছেন প্রবাসীরা
হামলার আতঙ্ক কাটিয়ে আজ ছন্দে ফিরেছে লন্ডন। মেট্রো স্টেশনগুলিতে সকাল থেকে ছিল আর পাঁচটা কর্মব্যস্ত দিনের ভিড়। পার্লামেন্টে অধিবেশন বসেছে যথারীতি। পার্লামেন্টের মূল ফটকেও ছিল এমপি-দের লম্বা লাইন। জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল জাতীয় পতাকা। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কার্যত এখন একজোট গোটা শহর। কালকের হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। তাঁর বক্তব্য, এ ভাবে হামলা চালিয়ে শহরের মনোবল ভাঙতে পারবে না জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, আঙ্গেলা মের্কেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের প্রধানরা। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে টেরেসা আজ বলেছেন, ‘‘গত কাল সন্ত্রাসবাদ আমাদের গণতন্ত্রকে চুপ করাতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা স্বাভাবিক নিয়মেই নিজেদের কাজে ফিরেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy