চব্বিশ ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ছিল, এ বার অবাধ বাণিজ্যের রাস্তায় তুলে রাখা প্রাচীর সরিয়ে দেবে চিন। বাণিজ্য-যুদ্ধে ইতি টানা যাবে আলোচনার টেবিলে বলে কথাবার্তার মাধ্যমেই। কিন্তু মাথা নোয়াতে বলার সেই ইঙ্গিতটুকুতেই বেজায় চটেছে চিন। এই যুদ্ধের জন্য ওয়াশিংটনকে দুষে কড়া আক্রমণ করেছে তারা।
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াংয়ের কথায়, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হওয়াই সম্ভব নয়।’’ তাঁর অভিযোগ, এক দিকে চড়া শুল্ক বসিয়ে লাগাতার হুমকি দিতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। অন্য দিকে, প্রস্তাব দিচ্ছে বৈঠকে বসার। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমেরও কটাক্ষ, অযথা উদ্বেগের রোগে ভুগছে আমেরিকা। তাদের প্রশ্ন, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কখনও আলোচনা হয় কি?
উল্লেখ্য, শনিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্সের ঘোষণা ছিল, যত দিন চিন তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখায়, তত দিন লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া ট্রাম্প ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, ‘‘এ বার বাধ্য হয়ে বৈষম্য ঘোচানোর পথে হাঁটবে চিন। বহু বছর তারা একচেটিয়া ভাবে বাণিজ্যে রাজত্ব করেছে। সেই দিন শেষ।’’ এই অবস্থায় এ বার সুর চড়াল ক্ষুব্ধ চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy