নীরব মোদী।
ভারত সরকার গত সপ্তাহেই দাবি করেছিল, বিদেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকা নীরব মোদী হংকংয়ে আছেন। তাঁকে গ্রেফতারের আর্জিও সেখানে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মুখ খুলল চিন। বলল, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে হংকংই। স্থানীয় আইন ও ভারতের সঙ্গে বিচারবিভাগীয় সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে নীরবকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে পারবে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে ১৩ হাজার কোটি প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরবের বেজিং, হংকংয়ে বিপণি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ গত সপ্তাহে সংসদে বলেছিলেন, ‘‘মন্ত্রকের দাবি, গণ প্রজাতন্ত্রী চিনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকার তাঁকে গ্রেফতার করুক।’’ হংকংয়ের সঙ্গে ‘আত্মগোপন করা অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি’ অনুসারে কেন্দ্র তাঁকে পাকড়াও করার দাবি জানিয়েছে বলে খবর সরকারি সূত্রের। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা এই আর্জি ও নির্দিষ্ট আইন মেনে হংকং ব্যবস্থা নেবে।’’ ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই বিচারবিভাগীয় সহায়তা চুক্তি আছে হংকঙের। সেই অনুযায়ী নীরবকে গ্রেফতার করে দেশে ফেরাতে পারবে হংকং, দাবি চিনের।
ইতিমধ্যেই পিএনবি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নীরব ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।
এ দিকে, আদালতে পিএনবি কেলেঙ্কারির বিচারের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি গ্রাহ্য করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেলের তরফে মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ইতিমধ্যেই সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর বিভাগ, গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ অনুসন্ধান দফতর (এসএফআইও) পিএনবি-কাণ্ডের তদন্ত করছে।
সংস্কারের অভাবেই কেলেঙ্কারি ওয়াশিংটনের খবর: বিএসই-র সিইও আশিস চহ্বাণের দাবি, ১৯৯২ সালে হর্ষদ মেটার হাত ধরে ঘটা শেয়ার কেলেঙ্কারির পরেই প্রয়োজন ছিল ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র সংস্কারের। সে সময়েও ব্যাঙ্ক থেকে প্রচুর টাকা বেআইনি ভাবে বার করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মতে বড় মাপের সংস্কারে খামতি থাকার জেরেই ফের ঘটেছে পিএনবি-র মতো কেলেঙ্কারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy