তরুণদের সঙ্গে: হ্যারি ও টেরেসা মে। সোমবার লন্ডনে। এএফপি
পাঁচ বছরে ৫৭ জন খুন! রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কমনওয়েল্থ দেশগুলোতে ৫৭ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এবং এই প্রবণতা বাড়ছেই। ভারতীয় সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুন থেকে মাল্টায় নিহত ড্যাফনে কারুয়ানা গালিজিয়া, অসংখ্য অপহরণ মামলা, সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা উঠে এসেছে কমনওয়েল্থ সংগঠনগুলির কার্যনির্বাহী দলগুলির তৈরি করা রিপোর্টে। আজ সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে। আগামী সপ্তাহে চোগাম (কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট মিটিং)-এ রাষ্ট্রনেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে রিপোর্টটি।
একের পর এক সাংবাদিক নিগ্রহ, হত্যার ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচিত হচ্ছে কমনওয়েল্থ দেশগুলো। ‘কমনওয়েল্থ লিগ্যাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার স্লিনের কথায়, ‘‘বিশিষ্টজনেরা মনে করেন কমনওয়েল্থে ‘মিনিস্টেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপ’ রয়েছে, যারা সংগঠনের রাজনৈতিক মূল্যবোধের খেয়াল রাখেন। কিন্তু আসলে দলটি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওদের ‘ইনঅ্যাকশন গ্রুপ’ বলাই ভাল।’’
সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এক গুচ্ছ দাবি তোলা হয়েছে রিপোর্টে। আগামী সপ্তাহে লন্ডনে বৈঠকে বসবেন রাষ্ট্রনেতারা। সেখানে তাঁদের সামনে পেশ করা হবে সেই দাবি সনদ। নাম রাখা হয়েছে, ‘কমনওয়েল্থ প্রিন্সিপলস অন দ্য রোল অব দ্য মিডিয়া ইন গুড গভর্ন্যান্স’। তাতে ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারের তিনটি শাখা, এগজিকিউটিভ স্তর, পার্লামেন্ট ও বিচারবিভাগের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা। সাংবাদিকদের শারীরিক ও আইনি নিরাপত্তা দেওয়া। ভোটের খবর করতে গিয়ে তাঁদের যাতে নিগৃহীত হতে না হয়, তা-ও নজরে রাখার কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিক খুন বা নিগ্রহ সম্পর্কিত মামলায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার দাবিও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy