হিমালয়ের মধ্যে দিয়ে চিনের সঙ্গে রেল-সংযোগের প্রকল্পে সায় দিয়েছে নেপাল। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণবাহাদুর মাহারা।
প্রাচীন ‘সিল্ক রুট’কে অনুসরণ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ প্রকল্প গড়তে চাইছে চিন। সেই প্রকল্পে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আপত্তি জানিয়েছে দিল্লি। কিন্তু কার্যত সেই আপত্তি উড়িয়ে এগোতে চাইছে বেজিং। চিনের কাঠমান্ডু-কেরং রেল প্রকল্পকে সেই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’-এর অঙ্গ করে তুলতে চাইছে নেপাল। মাহারার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বাড়াতে চাইছে কাঠমান্ডু। ফলে দিল্লির অস্বস্তি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের যতই আপত্তি থাক, চিনের এই প্রকল্পে উৎসাহিত নেপাল। কাঠমান্ডুর দাবি, এতে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়বে। মে মাসে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’-এর সম্মেলন হওয়ার কথা বেজিংয়ে। তাতে
অংশ নিতেও চায় নেপাল। তবে সরকারি ভাবে চিন এখনও নেপালকে আমন্ত্রণ জানায়নি বলেই কূটনৈতিক সূত্রের খবর।
নেপাল আমন্ত্রিত না হলেও বেজিংয়ের সম্মেলনে ভারতের আমন্ত্রণ রয়েছে। প্রকল্প নিয়ে আপত্তি থাকলেও দিল্লি ওই সম্মেলনে প্রতিনিধি পাঠাবে বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
মন্ত্রকের কর্তারা ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করছেন, প্রকল্প রুখতে ভারতীয় কূটনীতি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চিন-ভারত-মায়ানমার’ করিডর নিয়েও গড়িমসি করছে বেজিং। কারণ, চিন এই করিডরকে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’-এর অংশ করতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy