Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দু’পক্ষই অনড়, আমেরিকা অন্ধকারে

এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ দু’পক্ষ। নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানে অনড় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই দলই। প্রকাশ্যে বোঝাপড়া তো দূরের কথা, ‘শাট ডাউন’-এর প্রথম দিনে একে অপরকে দুষেই গেল তারা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৯
Share: Save:

এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ দু’পক্ষ। নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানে অনড় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই দলই। প্রকাশ্যে বোঝাপড়া তো দূরের কথা, ‘শাট ডাউন’-এর প্রথম দিনে একে অপরকে দুষেই গেল তারা। দিনভর ‘অভিমানী’ টুইট করে গেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প —‘‘বর্ষপূর্তিতে ডেমোক্র্যাটরা আমায় ভালই উপহার দিলেন।’’

শুক্রবার গভীর রাতে আইনসভার উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সেনেটে টেম্পোরারি স্পেন্ডিং বিল পেশ করেন ট্রাম্প। কিন্তু ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় ৬০টি সমর্থন ছিনিয়ে নিতে পারেননি তিনি। তাতেই রাতারাতি তালা পড়েছে মার্কিন রাজকোষে। জাতীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিষেবা ছাড়া সব দফতরের কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, এর আসল প্রভাব টের পাওয়া যাবে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনেই। সরকারি কর্মীরা অফিস যেতে পারবেন না। বিনা বেতনে বাড়িতে বসে থাকতে হবে। জরুরী পরিষেবা বহাল থাকলেও বাহিনীর একাংশ বেতন পাবেন না, যত ক্ষণ না সমস্যার সমাধান হচ্ছে। এরই মধ্যে ভরসা দিয়েছেন সেনেটের শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল। জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১ একটায় একটি অন্তিম ভোটের ডাক দিয়েছেন। বলেন, ‘‘আশ্বাস দিচ্ছি, পথ মিলবে।’’

শনিবার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ফ্লরিডার মার-আ-লাগো রিসর্টে পার্টি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু উৎসব করার বদলে তিনি টুইটারেই ব্যস্ত ছিলেন। লিখেছেন, ‘‘বেআইনি অভিবাসীদের নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের খুব মাথাব্যথা। অথচ সেনাবাহিনী বা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ওঁদের চিন্তা নেই।’’

এই নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে চার বার ‘শাট ডাউন’ হল আমেরিকায়। শেষ বার হয়েছিল ২০১৩ সালে। ৮ লাখেরও বেশি সরকারি কর্মীকে সাময়িক ভাবে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বছর। ‘‘পরিস্থিতি ভয়ের মতোই। কিন্তু ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় কী!’’ বললেন এক সরকারি কর্মী নোয়েল জল। বছর পঞ্চাশের নোয়েল ২০১৩ সালে বারাক ওবামার জমানাতেও ‘শাট ডাউন’ কী, দেখে এসেছেন। তবে বললেন, ‘‘এ বার পরিস্থিতি আরও খারাপ।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে সেনেটর চাক শুমারের গলায়। বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প কখন কী করবেন, বোঝা মুশকিল। তাই ওঁকে বুঝিয়ে রাজি করা এক প্রকার অসম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE