সব ঠিক থাকলে মাস দুয়েকের মধ্যে আলোচনার টেবিলে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। হোয়াইট হাউসের তরফে এই ঘোষণার পরেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।
হোয়াইট হাউস আজ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘দুই রাষ্ট্রনেতাই এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বজায় রাখার কথাও হয়েছে। এবং যত ক্ষণ না উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করছে, তাদের উপর নিষেধাজ্ঞাও বজায় রাখা হবে।’’ ফোনে চিনফিংয়ের কাছে আশা প্রকাশই করেছেন ট্রাম্প, ‘‘হয়তো কোনও পথ বেরোবে।’’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া নিয়ে ঘোষণার পর থেকে একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন ট্রাম্প। আবেও কিমের উপর চাপ বজায় রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউসের স্পষ্ট ঘোষণা, ট্রাম্প তখনই কথা বলবেন, যখন কিম কোনও ‘জোরদার পদক্ষেপ’ করতে রাজি হবেন। ‘‘কোনও ছাড় দিতে রাজি নয় আমেরিকা,’’ বলেন সারা। কবে, কখন, কোথায় দুই নেতার সাক্ষাৎ হবে, এখনও কিছুই নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ট্রাম্প এ দিন টুইট করেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তিপত্র যদি সম্ভব হয়, গোটা বিশ্বের জন্য সেটা সত্যিই সুখবর হবে।’’
আমেরিকা-উত্তর কোরিয়ার আলোচনায় বসার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজও। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে লাগাতার উদ্বেগ প্রকাশ করে গিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জ্বালানি সরবরাহ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy