প্রীত ভারারা
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি প্রীত ভারারাকে নিছক প্রশাসনিক কারণেই ছাঁটতে হয়েছে বলে ফের দাবি করল ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এ নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। নয়া প্রশাসনে আগের জমানার অ্যাটর্নিরা থাকবেন না— এটাই দস্তুর। সেই কারণেই একযোগে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো নিজে ওঁকে ফোন করেছিলেন। উনিই ধরেননি।’’
ইস্তফা দিতে রাজি হননি ভারারা। সেই কারণেই কি রাতারাতি তাঁকে বরখাস্ত করা হল? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও স্পাইসার বলেন, ‘‘শুধু জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নয়, ক্ষমতা বদলের পরে রাজনৈতিক ভাবে নিযুক্ত সমস্ত সরকারি পদেই নতুন করে নিয়োগ হতে আমরা আগেও দেখেছি।’’ সংবাদমাধ্যমের একাংশের যদিও দাবি, ভারারা সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি মামলা লড়ছিলেন, যাতে পরোক্ষে প্রশাসনেরই বিপদে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।
২০০৯ থেকে নিউ ইয়র্ক সাদার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি ছিলেন ভারারা। আদালতে দাপট দেখিয়েছেন একাধিক বার। ট্রাম্পের নির্দেশে ছাঁটাই হওয়ার পর লোয়ার ম্যানহাটনের অফিসে গত কালই ছিল তাঁর শেষ দিন। বর্ণাঢ্য এক সংবর্ধনায় তাঁকে বিদায় জানান সহকর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই সংবর্ধনা-ভিডিওর কিছু অংশে যেন আবেগপ্রবণ হতেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু এ দিন একটি বারের জন্যও মুখ খোলেননি নয়া প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। শুধু বলেন, ‘‘ইস্তফা দিইনি। বরখাস্ত করা হয়েছে আমায়। তবু বলব, এই অফিস থেকে কাজের অভিজ্ঞতা আমার কাছে সব চেয়ে বড় পাওনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy