ছবি: এএফপি।
গত এক মাসে কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। বরং দু’দেশের কথা কাটাকাটি, মতানৈক্য লেগেই ছিল। এত দিন পরে ফের বরফ খানিক গলল। এক মাস পরে গত কাল ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। দু’দেশের বাণিজ্যচুক্তি থেকে বিতর্কিত জেরুসালেম-প্রসঙ্গ, কথা হল সব কিছু নিয়েই।
গত ২৯ নভেম্বর ব্রিটেনের একটি অতি-দক্ষিণ গোষ্ঠীর (যার নাম ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’) নেত্রী জেডান ফ্র্যানসেনের তিনটি বিতর্কিত ভিডিও রিটুইট করে বসেন ট্রাম্প। ভিডিওতে দেখানো হয়েছিল, কয়েক জন ‘মুসলিম’ মিলে একটি ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে। এক প্রতিবন্ধী ওলন্দাজ শিশুকে আঘাত করছেন ‘মুসলিম’ অভিবাসী। ভিডিওটির সত্যতা বা তার মুসিলম-যোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তখনই। কারণ ভিডিও দেখে মার্কিন মুলুকে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট ‘নির্যাতনকারী’ তাদের দেশের নাগরিক। উল্টো দিকে ফ্র্যানসেনের বিরুদ্ধে আগেও উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ হেন মহিলার পোস্ট করা ‘ধর্মবিদ্বেষী’ ভিডিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিটুইট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রিটিশ প্রশাসন। টেরেসা সে দিন বলেছিলেন, ‘‘ওই ভিডিও রিটুইট করা একবারে উচিত কাজ হয়নি।’’
ট্রাম্প তাতে চুপ না থেকে পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে ভাববেন না। ব্রিটেনের ভিতরে যে ধ্বংসাত্মক কট্টর ইসলামি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, সে দিকে নজর দিন। আমরা একেবারে ঠিক আছি।’’
এর পর ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় ব্রিটেনে জানিয়ে দেয়, তারা আমেরিকার সিদ্ধান্ত মানে না। সে সময়ে সবাই বলতে থাকে, ‘প্রায় একঘরে যাওয়া ট্রাম্পের পাশে বন্ধু-দেশ ব্রিটেনও দাঁড়াল না’।
পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়ে গত কাল ফের কথা হয় ট্রাম্প-টেরেসার। মূলত ব্রেক্সিট-পরবর্তী দু’দেশের বাণিজ্য চুক্তি ও জেরুসালেম প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— ‘‘ব্রেক্সিটের পরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা হয়েছে। ব্রেক্সিট মীমাংসা যে ভাল ভাবে এগোচ্ছে, তা নিয়ে টেরেসাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার শান্তিপ্রক্রিয়া ও ইয়েমেনের ভয়াবহ অবস্থা নিয়েও কথা বলেন দু’জনে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy