Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ফোনে সিরিয়া নিয়ে কথা ট্রাম্প, পুতিনের

ভালই কথাবার্তা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

ভালই কথাবার্তা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক।

এপ্রিলের গোড়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে এই প্রথম ট্রাম্প-পুতিনের কথা হলো। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট একেবারেই ভিন্ন অবস্থানে ছিলেন। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পরে সারা বিশ্বের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে বরাবরই সিরিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবে পরিচিত রাশিয়া। প্রবল বিরোধের মুখেও রুশ প্রেসিডেন্ট তাই পাশে দাঁড়ান আসাদের। সেই টানাপড়েনের ইতিহাস পিছনে ফেলে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প-পুতিন। শুধু সিরিয়া নয়, তাঁদের কথায় উঠে এসেছে উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির প্রসঙ্গও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়ি টানতে আগ্রহী দুই শাসকই। পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সন্ত্রাস সমূলে উৎখাত ও উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও দু’জনের কথা হয়।

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, ‘‘ছ’বছর ধরে ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সিরিয়াকে। এই হিংসা শেষ করতে সব দেশের মিলিত ভাবে এগিয়ে আসা দরকার, এ ব্যাপারে একমত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন।’’ সিরিয়ায় সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কথা বলতে ট্রাম্পের এক প্রতিনিধি কাজাখস্তানের আসতানায় যাচ্ছেন। দু’মাস পরেই জার্মানির হামবুর্গে জি২০ সম্মেলন। সেখানেও মুখোমুখি কথার জন্য ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুতিন। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘যোগসাজশ’ এখনও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তাধীন।

দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হলেও রুশ এবং মার্কিন অফিসাররা একটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছেন না বলে দাবি কূটনীতিকদের। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য কিছু সুরক্ষা এলাকা (সেফ জোন) থাকা দরকার— এ নিয়েও ট্রাম্প-পুতিন কথা হয়েছে বলে দাবি হোয়াইট হাউসের। কিন্তু ক্রেমলিনের বিবৃতিতে তেমন কোনও প্রসঙ্গই নেই। পুতিনের মুখপাত্রও বলেছেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

সিরিয়ার কিছু অংশে আসাদের বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের আলাদা করতে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্ক সক্রিয় ভাবে কাজ করবে— আসতানায় পুতিনের প্রতিনিধি এমন প্রস্তাব দিতে পারেন বলে ক্রেমলিন সূত্রে খবর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাসাদ প্রশাসন এই প্রস্তাব নিয়ে কিছুটা সন্দিহান। প্রস্তাব কার্যকর হলে সিরিয়াকে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Vladimir Putin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE