Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মেধা-ভিত্তিক ভিসা নীতি চাইছেন ট্রাম্প

সেনেটে প্রস্তাবিত এই ‘দ্য রিফর্মিং আমেরিকান ইমিগ্রেশন ফর স্ট্রং এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট’ (রেইস) পাশ হলে বর্তমান পদ্ধতিতে যে ভাবে কিছু দেশকে লটারির মাধ্যমে মার্কিন ভিসা দেওয়া হয়, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বরং ভারতের মতো দেশগুলির উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারেরা অপেক্ষাকৃত সহজে আমেরিকার ভিসা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল ছবি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ০৭:১০
Share: Save:

চলতি ভিসা নীতিতে বদল এনে এ বার থেকে শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ পেশাদারদেরই গ্রিন কার্ড দেওয়ার পক্ষে সায় দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কাল এই সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হয়েছে সেনেটে। হোয়াইট হাউস মনে করছে, বর্তমান ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনলে দেশে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। এতে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ বাড়বে মার্কিনদের। পাশাপাশি, মেধা ও পেশাদারিত্বের নিরিখেই ভিসা দেওয়া হলে লাভবান হতে পারে ভারতের মতো দেশগুলি।

সেনেটে প্রস্তাবিত এই ‘দ্য রিফর্মিং আমেরিকান ইমিগ্রেশন ফর স্ট্রং এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট’ (রেইস) পাশ হলে বর্তমান পদ্ধতিতে যে ভাবে কিছু দেশকে লটারির মাধ্যমে মার্কিন ভিসা দেওয়া হয়, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বরং ভারতের মতো দেশগুলির উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারেরা অপেক্ষাকৃত সহজে আমেরিকার ভিসা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে আবেদনকারীর ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স এবং চাকরিতে সম্ভাব্য বেতন। ওই বিলে বলা হয়েছে, ভিসার জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২৬-৩১ বছরের মধ্যে, থাকতে হবে পেশাদারি ডিগ্রি, বেতন হতে হবে তাঁর নিজের দেশের তুলনায় গড়ে তিন গুণ বেশি।

রেইসে কেন লাভবান হবে ভারত? ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গড়পড়তা অভিবাসীদের তুলনায় আমেরিকার ভিসাপ্রার্থী ভারতীয়দের ইংরেজিতে দক্ষতা অনেক বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁদের পেশাগত যোগ্যতা ও ডিগ্রিও বেশি। বয়সও তুলনামূলক ভাবে অন্তত চার বছর করে কম। প্রসঙ্গত, মেধাভিত্তিক অভিবাসন নীতি প্রথম শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। পরে সেই পথে হাঁটে কানাডাও।

নয়া বিলে প্রধানত মাথায় রাখা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থ। সেনেটর টম কটন ও ডেভিড পারডিউয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এই নয়া অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আমেরিকা ও আমেরিকার মানুষের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এমন আবেদনকারীরাই প্রাধান্য পাবেন, যাঁরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী এবং পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। সেই সঙ্গে তাঁদের পেশাদারি দক্ষতা আমাদের দেশের অর্থনীতির সহায়ক হতে পারবে।’’ দেখা যাচ্ছে, ‘রেইস’ আইন মেনে অদক্ষ অভিবাসীদের সংখ্যা কমলে মার্কিন কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। ট্রাম্পের ব্যাখ্যা, আমেরিকায় প্রতি বছর দশ লাখেরও বেশি অভিবাসী আসেন। হয়তো দেখা যাবে, ওই দশ লাখের প্রতি ১৫ জনের মধ্যে সাকুল্যে মাত্র এক জনের আমেরিকায় আসার কারণ তাঁর কর্মদক্ষতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE