ফাইল চিত্র। এএফপি।
ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েই শ্বেতাঙ্গ-মিছিল ঘিরে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে নয়, সাংবাদিক বৈঠক ডেকেই বললেন, ‘‘বর্ণবিদ্বেষ ব্যাপারটাই অশুভ। আর এর নামে যারা হিংসা ছ়ড়ায়, তারা নিশ্চিত ভাবেই অপরাধী।’’
ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিল থেকে মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময়ের কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই লি-র একটি মূর্তি সরানো নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। অভিযোগ, শুক্রবার দক্ষিণপন্থীদের এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে প্রথম বার প্রকাশ্যে মুখ খোলেন ট্রাম্প। ততক্ষণে বিক্ষোভে প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে ভার্জিনিয়ায়। তার পরেও সরাসরি দক্ষিণপন্থীদের না দুষে নিউ জার্সি থেকে ট্রাম্প টুইট করেন, ‘‘সব পক্ষের এই বিদ্বেষ ও হিংসামূলক আচরণের সমালোচনা করছি। অবিলম্বে এই হানাহানি বন্ধ হোক।’’ সমালোচকদের বক্তব্য, এ ভাবে ‘সব পক্ষের’ ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
গা-ছাড়া মন্তব্যের জন্য গত কালই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। আজ পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে প্রেসিডেন্টের সমর্থনে দিনের শুরুতেই মুখ খোলে হোয়াইট হাউস। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, গত কাল প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে যথেষ্ট স্পষ্ট ও কড়া ভাবে সব ধরনের হিংসা, বিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতার নিন্দা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমালোচনা বন্ধ না হওয়ায় মাঠে নামেন প্রেসিডেন্ট।
তবু সুর চড়িয়েই চলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কার প্রতিক্রিয়া বরং অনেক কড়া। গত কাল ইভাঙ্কা বলেন, ‘‘আমাদের দেশে বর্ণবিদ্বেষ, কট্টরপন্থী শ্বেতাঙ্গ ও নাৎসিদের কোনও জায়গা নেই।’’ শার্লটসভিলের মেয়র মাইক সিংগারের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দেশে বর্ণবিদ্বেষী, নাৎসি ও ইহুদি-বিদ্বেষীদের দাপট বেড়েছে। লাগাতার আক্রমণে নড়ে বসে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় হোয়াইট হাউস। শুক্রবার শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণপন্থীদের এই মিছিলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে বিরোধীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নিমেষে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy