Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মহান, তাই থাকতে দিয়েছি!

আইফোনটি সারাতে গিয়েছিলেন দোকানে। সেখানে হাতের কাছে পেয়ে গেলেন শন স্পাইসার-কে। মানে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব।

শন স্পাইসা। ছবি: সংগৃহীত

শন স্পাইসা। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

আইফোনটি সারাতে গিয়েছিলেন দোকানে। সেখানে হাতের কাছে পেয়ে গেলেন শন স্পাইসার-কে। মানে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব।

মনের মধ্যে একগাদা কথা দলা পাকাচ্ছিল। স্পাইসার-কে পেয়ে সটান জিজ্ঞেস করে বসলেন, এক জন ফ্যাসিস্টের সঙ্গে কাজ করতে কী রকম লাগছে? দেশটা যে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে কী ভাবছেন? রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের ‘আঁতাঁত’ প্রসঙ্গও বাদ গেল না।

জবাব এল চোস্ত। স্পাইসার স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘‘আমেরিকা অতি মহান বলেই তোমাকে থাকতে দিয়েছে!’’

৩৩ বছরের শ্রী চৌহান তত ক্ষণে হতবাক। এই জন্য নয় যে, ট্রাম্প প্রশাসন এমন কথা কী করে বলল! শ্রী এই কথোপকথনের ভিডিওটা টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ক্যামেরার সামনে আমার নাগরিকত্ব নিয়ে যে ভাবে প্রশ্ন তোলা গেল, আমি সেই ঔদ্ধত্যটা দেখেই বিস্মিত।’’

প্রশ্ন উঠছে যে, শ্রী-ও তো খুব ভাল ব্যবহার করেননি স্পাইসারের সঙ্গে! সেটা মেনে মহিলা বলছেন, ‘‘মানছি, কড়া কথাই বলেছিলাম। কিন্তু কড়া কথা বলেছি বলে আমাকে ঘুরিয়ে দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হবে? এটা জাতিবিদ্বেষ ছাড়া কী?’’

ভিডিওটি নিয়ে প্রবল হইচই পড়ে গিয়েছে। মুখ খুলেছেন ট্রাম্পও। টুইট করেছেন, ‘‘আমার পরিশ্রমী প্রশাসনের সঙ্গে মিডিয়ার ব্যবহারটা খালি দেখুন!’’ শ্রী অবশ্য মিডিয়ার কেউ নন। তিনি আমেরিকায় জন্মেছেন, বড় হয়েছেন। শিক্ষা সংক্রান্ত একটি স্টার্ট আপ চালান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE