Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘পাগলি’, তবু শয্যাসঙ্গিনী করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের মুখনিঃসৃত এই সব ‘বাণী’ ডায়ানার জীবৎকালে শোনা যায়নি। পথ দুর্ঘটনায় প্রাক্তন যুবরানির মৃত্যুর তিন বছর পরে ওই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ডায়ানা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডায়ানা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৯
Share: Save:

যাঁকে নিয়ে গোটা বিশ্বের উন্মাদনা, তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তবে তখন তিনি মোটেই প্রেসিডেন্টের আসনে বসেননি। ব্রিটেনের প্রাক্তন যুবরানি ডায়ানাকে নিয়ে তুমুল আগ্রহ ছিল ট্রাম্পের। অকপটে সে কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েওছিলেন। বলেছিলেন, ডায়ানাকে নিয়ে বিছানায় যেতে দু’বার ভাবতামও না! তবে এ সব কথা ট্রাম্পের মুখে শোনা গিয়েছিল বছর সতেরো আগে। সেই রেডিও-সাক্ষাৎকারের রেকর্ডিং সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।

ট্রাম্পের মুখনিঃসৃত এই সব ‘বাণী’ ডায়ানার জীবৎকালে শোনা যায়নি। পথ দুর্ঘটনায় প্রাক্তন যুবরানির মৃত্যুর তিন বছর পরে ওই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০০০ সালে ডিজে হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শো-এ। তাঁর মতে, ডায়ানা ‘পাগল’ ছিলেন। এর পরে আরও বিস্তারিত হয়েছে ট্রাম্পের বয়ান, ‘‘ওঁর সেই উচ্চতা ছিল, সেই সৌন্দর্য ছিল, গায়ের চামড়াটাও... সব মিলিয়ে উনি অসাধারণ!’’

ট্রাম্পের চোখে সবচেয়ে ‘হট’ মহিলা কারা? ওই শো-এ উপস্থাপকের সঙ্গে এই নিয়েই আলোচনা চলছিল। প্রেসিডেন্টের তালিকায় সব চেয়ে উপরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং এখনকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। তার পরে ট্রাম্প রেখেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ইভানাকে। আর এই তালিকার তৃতীয় স্থান ট্রাম্প দিয়েছেন ডায়ানাকে। তবে শুধু এই সাক্ষাৎকারে নয়, প্রাক্তন যুবরানিকে নিয়ে তিনি যে মুগ্ধ তা ট্রাম্প অকাতরে জানিয়েছেন তাঁর বই, ‘দি আর্ট অব দ্য কামব্যাক’-এ। ডায়ানার মৃত্যুর তিন মাস পরে প্রকাশিত হয়েছিল এই বইটি। তাতে রয়েছে, ‘‘মানুষকে এক নিমেষে মুগ্ধ করে দেওয়ার কী ক্ষমতা ছিল ওঁর, তা আমি দেখেছি। উনি এলেই গোটা ঘর আলোয় ভরে উঠত। এমনই ওঁর জাদু। উনি প্রকৃত যুবরানি— স্বপ্নের নারী।’’

বইয়ে কিছুটা মার্জিত হয়ে কথা বললেও রেডিও শো-এ ট্রাম্পের মুখের আগল খুলে গিয়েছে! বলেছেন, ‘‘বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্য ওঁকে এইচআইভি টেস্ট করাতে বলতাম!’’

তবে বাস্তব জীবনে ট্রাম্প এবং ডায়ানার বিভিন্ন সময়ে দেখা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ম্যানহাটনের হিলটন হোটেলে এক নৈশভোজে তো তাঁরা এক টেবিলেই বসেছিলেন। তবে ধনকুবের ট্রাম্প যতই ডায়ানার গুণমুগ্ধ হোন, প্রাক্তন যুবরানি তাঁকে নিয়ে কোনও উৎসাহ দেখিয়েছেন, এমনটা দেখা যায় না। ২০১৫ সালে একটি ব্রিটিশ চ্যানেলের উপস্থাপক সেলিনা স্কট দাবি করেন, যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরেই কেনসিংটন প্যালেস (ডায়ানা সেখানেই থাকতেন) বিরাট ফুলের তোড়ায় ভরিয়ে দেন ট্রাম্প! সেই তোড়ার এক একটি ফুলের দামই ছিল একশো পাউন্ড! ডায়ানার মৃত্যুর পরেও ট্রাম্প নাকি ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবকে বলেছিলেন, ওই মোহময়ী মহিলার সঙ্গে ‘ডেট’ করতে না পারাটা তাঁর জীবনের সব চেয়ে বড় আক্ষেপ! ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, সময় পেলে ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোম্যান্স হতোই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE