প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের ঠিক আগে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল আমেরিকা।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে নীতি পুর্নবিবেচনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পাকিস্তানের নানা অংশে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে ড্রোন হামলা আরও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গি দমন না করলে মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করার কথাও ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাকিস্তানের ‘ন্যাটো বহির্ভূত অন্যতম মিত্র দেশ’-এর মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে সক্রিয় তালিবান জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ও মদতদাতা যে এখনও পাকিস্তান, তা বহু বার আমেরিকাকে জানিয়েছে আফগান সরকার। ফলে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু এ নিয়ে বিরোধ আছে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরেই। মার্কিন সেনা কর্তাদের একাংশের মতে, পাকিস্তানকে পুরোপুরি কোণঠাসা করা উচিত নয়। কারণ, ভৌগোলিক কারণে পাক সাহায্য ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি দমন সম্ভব নয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সাম্প্রতিক ইঙ্গিত নিয়ে তাই ভারতের এখনই খুশি হওয়ার দরকার নেই বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এখনও ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি। তার উপর, ইরানের বিরুদ্ধে যে সুন্নি-ন্যাটো জোট তৈরি করছেন ট্রাম্প, তাতে পাকিস্তানও সামিল হতে পারে।
এর উপর আবার চিন ইঙ্গিত দিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল করতে পারে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং আজ বলেন, ‘‘কার কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ, সেটা সকলে মিলে আলোচনা করে ঠিক হবে।’’
সব মিলিয়ে তাই আপাতত সতর্কই থাকতে হবে দিল্লিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy