Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শ্যাম্পেনের কর্ক নামাল আস্ত বিমান!

দুঁদে মার্কিন অভিনেত্রী ইলাইন স্ট্রিচ বলতেন, “আমার টাকা-পয়সার চিন্তা, নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা— সব শ্যাম্পেনের বোতলের কর্ক খোলার আওয়াজে উড়ে যায়!” অথচ, ওই শ্যাম্পেনের বোতলের কর্ক খুলতে গিয়েই চলতি মাসের গোড়ায় লন্ডন থেকে তুরস্কগামী এক বিমানকে জরুরি অবতরণ করতে হল মিলানে। তার সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যেও বিলক্ষণ দেখা গেল নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা— হয়ত বা আর্থিক দুশ্চিন্তাও!

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ০১:৪৫
Share: Save:

দুঁদে মার্কিন অভিনেত্রী ইলাইন স্ট্রিচ বলতেন, “আমার টাকা-পয়সার চিন্তা, নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা— সব শ্যাম্পেনের বোতলের কর্ক খোলার আওয়াজে উড়ে যায়!” অথচ, ওই শ্যাম্পেনের বোতলের কর্ক খুলতে গিয়েই চলতি মাসের গোড়ায় লন্ডন থেকে তুরস্কগামী এক বিমানকে জরুরি অবতরণ করতে হল মিলানে। তার সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যেও বিলক্ষণ দেখা গেল নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা— হয়ত বা আর্থিক দুশ্চিন্তাও!

যাত্রা শুরুর সময় অবশ্য সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। নির্ধারিত সময়ে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে মসৃণ উড়ানে যাত্রী নিয়ে চলেছিল ইজি জেটের বিমানটি। যাওয়ার কথা তুরস্কের ডালামানে। বিমান আকাশ ছোঁয়ার পর নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবে মত্ত ছিলেন যাত্রীরা। কেউ আবার মগ্ন ছিলেন বই বা খবরের কাগজের পাতায়। কেউ শুনছিলেন গান। বিমানকর্মীরাও যে যার কাজে ব্যস্ত। এমন সময়ে মাঝ আকাশে ঘটল বিপত্তি! যাত্রীদের পিপাসা মেটাতে গিয়ে হতাশার দিকে নিয়ে গেল ওই শ্যাম্পেনের বোতলের ছিপি!

যাত্রীদের জন্য শ্যাম্পেনের বোতল খুলছিলেন এক বিমানকর্মী। হঠাত্ই বোতলের কর্ক সোজা গিয়ে ধাক্কা মারল বিমানের সিলিংয়ে। কর্কের আঘাতে মুহূর্তে চিড় ধরে সেখানে। যাত্রীদের মুখের সামনে এসে যায় অক্সিজেন মাস্কগুলো। ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। আর বিমানচালক? নিরাপত্তার কথা ভেবে আর দেরি করেননি তিনি। বিমানটিকে আপত্কালীন ভাবে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ইতালির মিলানের মালপেনসায় নামিয়ে আনা হয় ইজি-জেটের বিমানটিকে।

ঘটনার দরুন নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পর গন্তব্যে পৌঁছয় বিমানটি। প্রাথমিক ভাবে চমকে গেলেও ঘটনার কথা ভেবে পরে মজাই পেয়েছেন যাত্রীরা। “চেঁচামেচি, দেরি, ইজি জেটের কয়েক হাজার পাউন্ড গচ্চা যাওয়া.......সবই সামান্য এক কর্কের জন্য! ছ্যা ছ্যা”— এমন মন্তব্যও শোনা যায় এক সুরসিক যাত্রীর মুখে।

ইজি জেটের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, চালকের সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। নিরাপত্তার কথা ভেবেই বিমানটিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। মিলানে মালপেনসায় যত ক্ষণ বিমানটি ছিল তত ক্ষণ যাত্রীদের সুবিধার্থে সমস্ত রকম পরিষেবা দিতেও কসুর করেনি বিমান কর্তৃপক্ষ।

আর শ্যাম্পেন? সেটাও কি যাত্রীদের পরিবেশন করা হয়েছিল মালপেনসায়? সে ব্যাপারে কোনও কথাই জানাতে চায়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE