Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ইহুদি হটানোয় ফ্রান্সের সমালোচনা মাকরঁ-র মুখে

প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে ভেল দিভ স্টেডিয়ামে নিহত ইহুদিদের স্মৃতিতে এক অনুষ্ঠানে গত কাল হাজির ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানেই ফরাসি প্রেসিডেন্টের গলায় শোনা যায় ইহুদি হটানো নিয়ে তাঁর দেশের নেতিবাচক ভূমিকার কথা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। ছবি: এএফপি।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৫
Share: Save:

হলোকস্টে হাত ছিল ফ্রান্সেরও— রবিবার এক অনুষ্ঠানে সরাসরি ঘোষণা করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। যাঁরা ইহুদি-হত্যায় ফ্রান্সের এই ভূমিকাকে লঘু করে দেখেন, তাঁদেরও এক হাত নিয়েছেন তিনি। এই গোষ্ঠীর মধ্যে পড়েন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাকরঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থী নেত্রী মারিন ল্য পেন।

প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে ভেল দিভ স্টেডিয়ামে নিহত ইহুদিদের স্মৃতিতে এক অনুষ্ঠানে গত কাল হাজির ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানেই ফরাসি প্রেসিডেন্টের গলায় শোনা যায় ইহুদি হটানো নিয়ে তাঁর দেশের নেতিবাচক ভূমিকার কথা। সেখানে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের শান্তি আলোচনার ডাকও দেন মাকরঁ।

৭৫ বছর আগেকার স্মৃতিচারণায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট তুলে আনেন আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে ইহুদিদের সেই ব্যাপক ধরপাকড়ের কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৪২ সালে নাৎসি অফিসারদের নির্দেশে ভেল দিভ সাইক্লিং ট্র্যাক থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি ফরাসি ইহুদিকে আটক করে এ দেশের পুলিশ। তাঁদের পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। তার মধ্যে ছিল চার হাজারেরও বেশি শিশু। যাদের একশোরও কম শেষ পর্যন্ত বেঁচেছিল। অর্ধেক শতক পার হওয়ার পরে ফরাসি পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রথম ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাক শিরাক। এবং পরবর্তীকালে ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদও।

যদিও তাঁদের সঙ্গে সহমত নন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেত্রী মারিন ল্য পেন। তাঁর মতে, ‘‘ভেল দিভের ঘটনার জন্য ফ্রান্স দায়ী বলে আমার মনে হয় না। বলা ভাল, ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, দায় তাদের। ফ্রান্সের নয়।’’ মারিন ল্য পেন এই ভূমিকার জন্যই ভোট ময়দানেও সমালোচিত হন। উঠে আসে তাঁর চরমপন্থী বাবা জঁ মারি ল্য পেনের কথাও।

মাকরঁ তীব্র সমালোচনার সুরে বলেন, ‘‘ফ্রান্সই গোটা বিষয়টির পিছনে ছিল। কোনও এক জন জার্মানও সরাসরি এতে জড়ায়নি।’’ ফ্রান্স থেকে অন্তত ৭৬ হাজার ইহুদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নাৎসি ক্যাম্পে। হলোকস্ট পেরিয়ে বেঁচে ফিরেছেন যাঁরা, এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE