ফেসবুকে একটা নোটিফিকেশন পেয়ে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল গ্যারি বার্নহার্টের। গত বছর নভেম্বরের সেই রাতে খোদ ‘মার্ক জ়াকারবার্গ’-এর থেকে একটি মেসেজ পান তিনি। বার্তাটি ছিল— ‘‘ফেসবুক লটারিতে আপনি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার জিতেছেন।’’
জ়াকারবার্গের থেকে এই ‘শুভেচ্ছাবার্তা’ পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ৬৭ বছর বয়সি গ্যারি। হ্যাম লেকের বাসিন্দা প্রাক্তন এই সেনাকর্মী উত্তেজনায় সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। ওই অর্থ হাতে পাওয়ার আগে তাঁকে ২০০ ডলারের আইটিউন গিফট কার্ড পাঠাতে বলা হয় নির্দিষ্ট ঠিকানায়। তাই করেন গ্যারি। কিন্তু এ রকম ‘উপহার’-এর দাবিদাওয়া চলতেই থাকে। পরে গ্যারি বুঝতে পারেন, জালিয়াতির ‘বলি’ হয়েছেন তিনি। তত দিনে তাঁর পকেট থেকে আরও বেশ কিছু ডলার বেরিয়ে গিয়েছে।
শুধু গ্যারিই নন, এ রকম জালিয়াতির শিকার আরও অনেকে। তথ্য ফাঁস কাণ্ডে বিপর্যস্ত ফেসবুক যখন নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে, ঠিক তখনই ফেসবুক মালিক জ়াকারবার্গ কিংবা সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এ ধরনের জালিয়াতি অব্যাহত। সম্প্রতি একটি মার্কিন দৈনিকের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকে এ রকম অন্তত ২০৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কোনওটি জ়াকারবার্গ, কোনওটি স্যান্ডবার্গের নামে। ইনস্টাগ্রামেও এক দশা। ওই দৈনিকের দাবি, এর মধ্যে ৫১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টই (এর মধ্যে ৪৩টিই রয়েছে ইনস্টাগ্রামে) ‘লটারি’র নামে দুর্নীতি চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy