Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিমানযোগ ঘুচবে কি ইউরোপ ও ব্রিটেনের!

প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, তাঁর বিকল্প ভাবনা রয়েছে। হ্যামন্ডের বক্তব্য,  দেখার বিষয় এটাই যে, কত দিন সেটা না করে চলা যায়, সেটি বুঝে নেওয়া।

ফিলিপ হ্যামন্ড

ফিলিপ হ্যামন্ড

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:২০
Share: Save:

ব্রেক্সিট নিয়ে অনেক জটই ছাড়াতে হবে টেরেসা মে-কে। কিন্তু আশু চিন্তা বিমান যোগাযোগ বজায় রাখা। ব্রিটেনের রাজস্ব বিভাগের চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ডই দেশের প্রথম মন্ত্রী, যিনি এই সঙ্কটের কথা মানলেন। বিগত ২৫ বছর ধরে ইউরোপের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিমান চলাচল করেছে অবাধে। শুধু দেখতে হয়েছে নামা-ওঠার সুযোগ ও যাতায়াতের জন্য আকাশ-পথ খোলা আছে কি না। এই ব্যবস্থা পরিচালনা করে এসেছে ‘ইইউ ইন্টারনাল মার্কেট ফর অ্যাভিয়েশন’। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে ব্রিটেন আর সেই ‘মুক্ত আকাশ’ ব্যবস্থার সুযোগ পাবে না। ব্রিটেন থেকে বিমানকে ইউরোপের কোনও দেশে যেতে হলে তার জন্য আলাদা চুক্তি করতে হবে। ব্রিটেন এবং ইইউ-এর মধ্যে সেই চুক্তি না হলে ২০২৯-এর ৩১ মার্চের পরে কোনও বিমানই আর ব্রিটেন থেকে ইউরোপে পাড়ি দিতে পারবে না। বাণিজ্য ও পর্যটন-সহ বহু ক্ষেত্রেই যা বিপর্যয় নিয়ে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, তাঁর বিকল্প ভাবনা রয়েছে। হ্যামন্ডের বক্তব্য, দেখার বিষয় এটাই যে, কত দিন সেটা না করে চলা যায়, সেটি বুঝে নেওয়া। এবং শেষ সময় পর্যন্ত যাতে সরকারি অর্থ ওই খাতে খরচ না হয়, সেটি দেখা। যুক্তিটা এই যে, ব্রেক্সিট নিয়ে চুক্তি হয়ে গেলে বিকল্প ব্যবস্থার নামে ওই খরচ অপচয় প্রমাণিত হবে। কিন্তু এতেই থেকে যাচ্ছে ঝুঁকি। ২০২৯-এর ৩১ মার্চের মধ্যে চুক্তি না হলে যে ব্রিটেন-ইউরোপ বিমান যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE