বাঁচা: গুটার প্রধান শহর দৌমা অগ্নিগর্ভ। নিস্তার নেই শিশুরও। রয়টার্স
বিরতিতেও বিরাম নেই লড়াইয়ের!
শনিবারই সিরিয়ায় এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু এরই মধ্যে রবিবার পূর্ব গুটার বিভিন্ন এলাকায় ফের দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দাবি, আইএসের ঘাঁটি ধ্বংস করতেই হামলা চালিয়েছে সেনা। তাঁদের যুক্তি, আল কায়দা, আল নুসরা ফ্রন্ট বা আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে কোনও ভাবেই এই যুদ্ধবিরতির আওতায় রাখা হয়নি। স্থানীয় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের যদিও অভিযোগ, জঙ্গি দমনের নামে সিরীয় সেনা আদতে বেছে বেছে বিদ্রোহীদেরই নিশানা করছে। নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৫। আহত শতাধিক। নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধে গুটার অন্যতম প্রধান শহর দৌমায় এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। পরিস্থিতির কড়া নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। দু’পক্ষের কাছেই যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুধু যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনই নয়, আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কাল রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগও উঠে এসেছে। পূর্ব গুটাকে বিদ্রোহীদের দখলমুক্ত করতে এক সপ্তাহ ধরে টানা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতেই নড়েচড়ে বসে রাষ্ট্রপুঞ্জ। শনিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী সদস্য দেশ সায় দেয় যুদ্ধবিরতিতে। বলা হয়, যুদ্ধের কারণে আটকে পড়া দেশের নাগরিকদের চিকিৎসা-সহ অন্যান্য সুবিধা দিতেই এই বন্দোবস্ত। কিন্তু কালকের হামলার জেরে আহতদের চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা তাঁদের শরীরে ক্লোরিন গ্যাসের নমুনা পেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার দখল ছাড়তে নারাজ পূর্ব গুটায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা বিদ্রোহীরাও। দামাস্কাসের অদূরে তাদের ঘাঁটিতে জোর করে অনুপ্রবেশ করতে চাইলে ৩ জন সেনাকে তারা হত্যা করেছে বলে দাবি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের। এরা আবার আগে আল
নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিদ্রোহীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy