হাফিজ সইদ। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রশাসনের উপর বরাবরই প্রভাব ছিল তাঁর। কিন্তু এ বার আরও প্রত্যক্ষ ভাবে হাফিজ সইদ অংশ নিতে চলেছেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে। হাফিজের লস্কর-ই-তৈবার মুখোশ হিসেবে কাজ করে যে সংগঠন, সেই জামাত-উদ-দাওয়া সদ্য পাকিস্তানের একটি উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জামাত-উদ-দাওয়ার রাজনৈতিক শাখা পাকিস্তানের সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:কোরিয়ার আকাশে মার্কিন ফাইটারের গর্জন, বাড়ছে উত্তাপ
দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় তাঁর আসনটি খালি হয়েছিল। নওয়াজের আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ। কুলসুমই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে জামাত-উদ-দাওয়ার সমর্থনে যে প্রার্থী লড়েছেন, তাঁকে নিয়ে এখন জোর জল্পনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে। শেখ ইয়াকুব নামে ওই প্রার্থী নির্বাচনে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। তার পরেই হাফিজের সংগঠন ঘোষণা করেছে, ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে তাদের তৈরি দল মিল্লি মুসলিম লিগ পাকিস্তানের সব আসনে প্রার্থী দেবে।
আরও পড়ুন:টিউব বিস্ফোরণে গ্রেফতার আরও এক
মুম্বই জঙ্গিহানার মূল চক্রী হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া যে মিল্লি মুসলিম লিগ নামে নতুন দল তৈরি করছে তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেখ ইয়াকুবকে সেই দলের প্রার্থী হিসেবেই ময়দানে নামাতে চেয়েছিলেন হাফিজরা। কিন্তু দলটি এখনও পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি পায়নি। তাই জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়েন ইয়াকুব। নির্বাচনী ফলাফলে হাফিজ শিবির তথা লস্কর-ই-তৈবার নেতৃত্ব উচ্ছ্বসিত। ২০১৮-র নির্বাচনে পাকিস্তানের রাজনীতির মঞ্চে আরও বড় জায়গা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে জঙ্গি হাফিজের লোকজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy