ভস্মীভূত তুতেপেক শহরের বাজিবাজার। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল।
বছরশেষের উৎসবের আনন্দ এক নিমেষে বদলে গেল বিষাদে। মেক্সিকো শহরের সবচেয়ে বড় বাজিবাজারে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল অন্তত ২৯ জনের। গুরুতর আহত ৭০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মেক্সিকো শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে তুতেপেক শহরের ওই বাজিবাজারে আগুন লাগে। বড়দিন ও নতুন বছরের জন্য শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারছিলেন অনেকেই। ঘটনার সময় ভিড়ে ঠাসা ছিল বাজারটি। হঠাৎই একটি দোকানে ভয়ঙ্কর শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলিতে। একের পর এক দোকানে রাখা বাজিতে আগুন ধরে যায়। ঘন ধোঁয়া ও রং-বেরঙের আগুনে ভরে ওঠে আশপাশের এলাকা। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন অনেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহরের কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও ধোঁয়া দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
লরি-হানায় জঙ্গিযোগ, বার্লিনে হত ১২
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল ও উদ্ধারকারী দল। ওই বাজারের বিক্রিবাটা করার অনুমতি দিয়েছিল সেনাবাহিনী। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁদের। সিভিল প্রোটেকশন সার্ভিসের প্রধান লুই ফিলিপে পুয়েন্তে বলেন, “আগুন নেভার জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাদের। আগুন নিভে যাওয়ার পরই উদ্ধারকাজে নামা গিয়েছে।”
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকাজে নামে একটি বিশেষ দল। তত ক্ষণে প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে তুতেপেকের ওই বাজিবাজার। ঘটনাস্থল থেকে একের পর এক পুড়ে যাওয়া দেহ বের করে আনতে থাকে উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসাবশেষের নীচে কেউ জীবিত আছে কি না, তা-ও খুঁজে দেখা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে আশপাশের ঘরবাড়ি ও পার্কিং করা গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেক্সিকোর গভর্নর ইরুভিয়েল আভিলা বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ২৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিন জন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।” ফেডেরাল পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, আহত ৭০ জনকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহতদের অনেকেরই অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, গান পাউডারের অপব্যবহারের ফলে আগুন লেগে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy