মেধার ভিত্তিতে অভিবাসনের উপরে জোর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সিদ্ধান্তের সমর্থনে গত শনিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে মিছিল করলেন প্রায় ৮০০ জন প্রবাসী ভারতীয়। তাঁদের দাবি, দেশ পিছু কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে গ্রিন কার্ড চালু করুক ট্রাম্প প্রশাসন। তাতে সুবিধে হবে ভারতীয়দের।
বর্তমানে দেশ পিছু কোটা ব্যবস্থায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধেজনক অবস্থানে নেই ভারতীয়েরা। প্রতি বছর ৯৮০০ জন ভারতীয় গ্রিন কার্ড পেতে পারেন। কিন্তু বছরে অন্তত ৫০ হাজার ভারতীয় আবেদন জানান। হোয়াইট হাউসের বাইরে ‘ট্রাম্প লাভস হিন্দুস’-এর মতো প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হওয়া ভারতীয়দের প্রায় সবাই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। সকলেই একবাক্যে জানিয়েছেন, মেধার ভিত্তিতে অভিবাসন চালু নিয়ে তাঁরা ট্রাম্পের পাশে আছেন।
শনিবারের মিছিলের আয়োজন করেছিল ‘রিপাবলিকান হিন্দু কোয়ালিশন’ নামে একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতা কৃষ্ণ বনশলের কথায়, ‘‘পারিবারিক ভিত্তিতে গ্রিন কার্ড দেওয়াও তুলে দিতে চাইছেন ট্রাম্প। প্রতি বছর মার্কিন নাগরিকদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ৫ লক্ষ গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। ফলে দক্ষ ভারতীয়দের অনেকেই বঞ্চিত হন।’’ কৃষ্ণের মতে, আমেরিকার দক্ষ অভিবাসীদের ৩০ শতাংশ ভারতীয়। কিন্তু তাঁদের গ্রিন কার্ড পেতে কয়েক দশক লেগে যায়। অনুপ্রবেশ রুখতে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার প্রস্তাবও সমর্থন করেছে ‘রিপাবলিকান হিন্দু কোয়ালিশন’।
নাবালক অবস্থায় বেআইনি ভাবে আমেরিকায় আসা কয়েক লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন টানাপড়েন চলছে। মার্কিন অভিবাসন বিতর্কের পরিভাষায় এঁরা পরিচিত ‘ড্রিমারস’ নামে। ভারতীয়দের অনেকের দাবি, তাঁরা সময়ে গ্রিন কার্ড না পাওয়ায় তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে। ২১ বছর বয়স হলে সন্তানরা আর আইনত অভিভাবকের উপরে নির্ভরশীল থাকবেন না। ফলে আমেরিকায় তাঁদের আইনি অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এক ভারতীয়ের কথায়, ‘‘আমাদের সন্তানেরা ড্রিমারদের এক নতুন প্রজন্ম হয়ে উঠতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy