নজরদার: সনিয়া আহুজা
ফেসবুকের ঘর থেকেও চুরি! ঘর বাঁচাতে তাই রীতিমতো ‘পুলিশ’ নিয়োগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। আর সেই সাদা-পুলিশের দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা, সনিয়া আহুজা।
যদিও বিষয়টি নিয়ে নিন্দে-মন্দ করছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, ঘর বাঁচানোর নামে কর্মীদের উপর রীতিমতো নজরদারি চালায় ফেসবুক।
বিষয়টির শুরু ২০১৫ সালে। প্রতি সপ্তাহের মতোই হাজার খানেক কর্মীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জুকেরবার্গ। নানা ধরনের পরিকল্পনা, নতুন কী কী করা যায়, এ সব নিয়ে আলোচনা হয় এ ধরনের সাপ্তাহিক বৈঠকে। কর্মীদের পরামর্শ চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের এমনই একটা বৈঠকে বোমা ফাটান জুকেরবার্গ স্বয়ং। বলেন, ‘‘খবর চুরি হচ্ছে। আর কে চুরি করছে, আমরা ঠিকই ধরে ফেলব। আগেই বলে রাখছি, তাঁর চাকরি যাবে।’’ এর এক সপ্তাহ পরেই জানানো হয়, ‘চোর’ ধরা পড়েছে। এবং তাঁকে বরখাস্তও করা হয়। যদিও একাংশের দাবি, অভিযুক্তের কোনও কথাই শোনেনি সংস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেসবুকের এক প্রাক্তন কর্মী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। গত বছর তাঁকে পদোন্নতির নাম করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে এক প্রকার ইঁদুর ধরার কল পেতে বসেছিল তদন্তকারী দল। তাঁকে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকেন ওই গোয়েন্দারা। তার পর কিছু ‘স্ক্রিনশট’ দেখানো হয়। যা দেখিয়ে বলা হয়, তিনি সাংবাদিকদের কাছে ফেসবুকের খবর ফাঁস করে দিয়েছেন। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, ওই সংস্থায় যোগ দেওয়ার বহু দিন আগে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের কথা হয়েছিল। কিন্তু সে সব না শুনেই তাঁকেও চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘‘বাইরে থেকে সত্যি মনে হয় ফেসবুক ভীষণ ভাল! দুনিয়া বদলে দিতে পারে এরা। কিন্তু ভিতরে ঢুকলে বোঝা যায়, কী ভয়ঙ্কর! হঠাৎই দেখবেন এক দিন জুকেরবার্গের ‘পুলিশ’ আপনার সামনে হাতকড়া হাতে দাঁড়িয়ে।’’
ফেসবুকের মুখপাত্র বের্টি টমসন অবশ্য বিষয়টা অস্বীকার করেননি। বরং বলেছেন, ‘‘সব সংস্থাই এ ধরনের অন্তর্তদন্ত করে থাকে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy