বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলে। গ্রাফিক্স: পিটিআই।
ফের বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা। ৬৬ জন আরোহী-সহ ভেঙে পড়ল ইরানি বিমান। দক্ষিণ ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালার উপত্যকায় রবিবার যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে সে দেশের আপৎকালীন পরিষেবা বিভাগের তরফ থেকে স্থানীয় মিডিয়াকে জানানো হয়েছে। আসেমান এয়ারলাইনসের তরফে ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানানো হয়েছে, ৬৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
আধা-সরকারি উড়ান সংস্থা আসেমান এয়ারলাইনসের বিমানটি তেহরান থেকে যাচ্ছিল ৭৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী ইয়াসুজ শহরে। যাত্রাপথের প্রায় শেষ দিকে পৌঁছে সেটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। তেহরানের ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড়ি শহর সেমিরোমে ভেঙে পড়ে এটিআর-৭২ বিমানটি।
উড়ান সংস্থার তরফে মুখপাত্র মহম্মদ তাঘি তাবাতাবাই ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, বিমানে একটি শিশু-সহ মোট ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। ৬ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। দুর্ঘটনার কবল থেকে কেউই বাঁচতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে উড়ান সংস্থার বিমান ভেঙে পড়ল, সেই আসেমান এয়ারলাইনস ইরানের বিভিন্ন প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে বিমান পরিষেবা দেওয়াতেই বিশেষ ভাবে পারদর্শী। রবিবারও তেহরান থেকে অনেকটা দূরবর্তী এক দুর্গম এলাকার উদ্দেশেই রওনা দিয়েছিল আসেমানের বিমান। কিন্তু জাগ্রোস পর্বতমালার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়েছে। ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি কোনও পক্ষই। ইরানের আপৎকালীন পরিষেবা দলও দুর্ঘটনাস্থলে এখনও পৌঁছতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের পাশে, বার্তা ইরানের
আরও পড়ুন: ছাবাহারকে সামনে রেখে ভারত-ইরান ৯টি চুক্তি
ইরানিয়ান রেড ক্রেসেন্টের দলকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। যখন দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখন জাগ্রোসের আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল বলে রেড ক্রেসেন্টের তরফে জানানো হয়েছে। আপৎকালীন পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মোজতবা খালেদি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। ‘‘এলাকাটা এতটাই পর্বতসঙ্কুল যে, সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো সম্ভব নয়।’’ বলেছেন খালেদি।
গত রবিবার রাশিয়ায় ভেঙে পড়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। তাতে ৭১ জনের মৃত্যু হয়। ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ফের বিমান দুর্ঘটনার খবর এল ইরান থেকে।
দশকের পর দশক ধরে ইরানের বিরুদ্ধে জারি ছিল একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে ইরানি সংস্থাগুলি দীর্ঘ দিন নতুন যাত্রীবাহী বিমান কিনতে পারেনি। বহু বছরের পুরনো বিমানগুলিই যাত্রী পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশ বেড়ে গিয়েছে।
২০১৫ সালে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে কিছুটা মাথা নত করে ইরান আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায়, নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হয়েছে। বোয়িং এবং এয়ারবাস সংস্থার কাছ থেকে নতুন বিমান কেনার জন্য চুক্তিও ইরান সেরে ফেলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy