শীতকালীন অলিম্পিক্সে যখন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং হাজির হয়েছিলেন, সবাই বলেছিলেন ‘উত্তর কোরিয়ার ইভাঙ্কা’। এ বার অলিম্পিক্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দক্ষিণ কোরিয়া আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা, ইভাঙ্কা।
স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। কিমের বোন যে ভাবে সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছিলেন, ফ্যাশনদুরস্ত ইভাঙ্কাও কি ততটা চোখ টানতে পারবেন? হোয়াইট হাউস এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও তুলনা উঠছেই।
তুলনা হচ্ছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গেও। শীতকালীন অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিম ইয়োর কাছাকাছিই বসেছিলেন পেন্স। কিন্তু কিমের বোন যে ভাবে দক্ষিণ কোরীয়দের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন, দু’দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন যে ভাবে অনেকটাই হালকা করে দিয়েছিলেন, পেন্স ততটা প্রভাব ফেলতে পারেননি— কূটনীতিকরা তেমনটাই দাবি করেছিলেন। পরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পেন্সের বৈঠকও বাতিল হয়ে যায়। ফলে শুক্রবার ইভাঙ্কার সোলে আসা যথেষ্টই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অনেকে। যদিও ট্রাম্প-কন্যাকে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর পিছনে এমন কোনও কারণ আছে বলে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন।
ইভাঙ্কা এ দিন বলেছেন, ‘‘পিয়ংচ্যাং অলিম্পিক্সে মার্কিন দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’ ইভাঙ্কাকে উত্তর কোরিয়া যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বাবার প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে যান তিনি। হোয়াইট হাউসের কর্তারা জানাচ্ছেন, শীর্ষস্তরের প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে সবটাই মার্কিন অ্যাথলিটদের উৎসাহ দিতে, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy