মেঘ কেটে গিয়ে আপাতত স্বস্তি গুয়ামে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই মার্কিন দ্বীপকেই নিশানা করে কার্যত পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। যার জবাবে পাল্টা সুর চড়িয়েছিল আমেরিকাও। কিন্তু পিয়ংইয়ং সূত্রের খবর, গুয়ামে যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা বলা হয়েছিল, আপাতত তা স্থগিত রাখছেন কিম। টুইটারে আজ সেই সূত্রেই কিমের বিচক্ষণতার প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিখলেন, ‘‘যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করেই এমন যুক্তিপূর্ণ এবং বিচক্ষণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিম জং উন। অন্যথায় সর্বনাশ হয়ে যেত। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
কোরীয় উপদ্বীপ জুড়ে কিম-ট্রাম্পের টানাপড়েন কিন্তু এখনও তুঙ্গে। উত্তর জাপানে আজও প্রায় ৩০০ জাপানি সেনার সঙ্গে গোলা-বারুদ নিয়ে যৌথ মহড়া চালিয়েছে মার্কিন ফৌজ। ১০ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষণ-মহ়ড়া। চলবে আরও সপ্তাহ দু’য়েক। আগামী সপ্তাহ থেকে আবার আরও এক দফা মহড়া শুরু হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে পাশে নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদতেই কিমের প্রশংসা করলেন, নাকি ঘুরিয়ে উস্কে দিলেন— উত্তর খুঁজছেন মার্কিন কূটনীতিকদেরই একটা বড় অংশ।
পেল্লাই একটা টেবিলে প্রমাণ আকারের মানচিত্র নিয়ে পিয়ংইয়ং থেকে গুয়াম বরাবর সরলরেখা টানছেন কিম। উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে সম্প্রতি এমনই এক ছবি উঠে এসেছিল। যা চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল পেন্টাগনের। যদিও গত কালই গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা জানান তিনি। জানানো হয়— আমেরিকার কী করছে, সেটা জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। আর তার পরেই ট্রাম্পের আজকের এই টুইট।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান কিংবা চিনের আর্জি মোতাবেক উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বসার কথাও ভাবছে ট্রাম্প-প্রশাসন। কিন্তু সে জন্য আগে সুর নরম করতে হবে কিমকে। চিনা জেনারেল ফাং ফেংহুইকেও আজ তেমনটাই বার্তা দেন আমেরিকার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফসের চেয়াম্যান জেনারেল জো ডানফোর্ড। কিমকে ঠেকানোর ক্ষেত্রে আলোচনা বিফলে গেলে যে যুদ্ধই একমাত্র বিকল্প, তা ফের স্পষ্ট করে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy