দাদার পাশেই ছিলেন কিম ইও জং
ফেব্রুয়ারিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে তাঁকেই পাঠিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন। দুই কোরিয়ার বরফ গলার শুরু তখন থেকেই। আজ দু’দেশের ঐতিহাসিক বৈঠকেও দাদার পাশে পাশেই দেখা গেল তাঁকে। কিম ইও-জং। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, কিম জং-উনের একমাত্র বোন ইও-ই ধীরে ধীরে উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হয়ে উঠছেন।
দাদার সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ডে দীর্ঘ সময় থেকেছেন ইও। সেখানকার স্কুলেই প়ড়াশোনা করেছেন দুই ভাই-বোন। তখন থেকেই দাদার সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ইও-র। গত অক্টোবরে তাঁকে পলিটব্যুরোর গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান কিম। তার পর থেকেই দাদার ছায়াসঙ্গী তিনি। যে কোনও জরুরি বৈঠকে কিমের সঙ্গে থাকেন ইও। মাস খানেক আগে কিমের বেজিং সফরেও তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল ইও-কে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ কিমের সঙ্গে সীমান্ত পেরোতে দেখা গিয়েছে তাঁর বোনকে। বৈঠকেও হাজির ছিলেন ইও। গ্রামের ‘পিস হাউস বিল্ডিং’-এ রাখা অতিথিদের জন্য বইয়ে সই করার সময় দাদাকে কলম এগিয়েও দিতে দেখা গিয়েছে ইও-কে। দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন যখন ইও-র প্রশংসা করছেন, লজ্জা পেতেও দেখা গিয়েছে কিমের তিরিশ বছরের বোনকে। ইও ছাড়া আজকের বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পলিটব্যুরোর সদস্য, প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান কিম ইয়ং চোল হাজির ছিলেন।
আজ রাতে দু’দেশের প্রতিনিধিদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিমের স্ত্রী রি সোল জু-ও। নৈশভোজে বিশেষ করে বানানো হয়েছিল কিমের পছন্দের সব খাবার। তালিকায় ছিল সুইস পদ আলুর রোসতি থেকে শুরু করে কিমের প্রিয় ঠান্ডা নুডল আর ওয়াইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy