Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
International news

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি, চিনে প্রতিশ্রুতি কিমের

কিম যে চিন যাচ্ছেন, তা কাক-পক্ষীতেও টের পায়নি। গোটা সফরটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এমনকী সফর শেষ করে যতক্ষণ না কিম দেশে ফিরেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চিনও এই সফর নিয়ে মুখ খোলেনি। বুধবার সকালে বেজিংয়ের তরফে কিমের সফরের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়।

কিম জং উন এবং শি চিনফিং। ছবি: রয়টার্স।

কিম জং উন এবং শি চিনফিং। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ১১:১৬
Share: Save:

কথায় কথায় তিনি পরমাণু হামলার হুমকি দেন। উত্তর কেরিয়ার শাসক সেই কিম জং উনের গলাতেই কি না এবার উল্টো সুর! গোপনে চিন সফরে গিয়ে তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর সঙ্গে বৈঠক তো করলেনই, সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কিম যে চিন যাচ্ছেন, তা কাক-পক্ষীতেও টের পায়নি। গোটা সফরটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এমনকী সফর শেষ করে যতক্ষণ না কিম দেশে ফিরেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চিনও এই সফর নিয়ে মুখ খোলেনি। বুধবার সকালে বেজিংয়ের তরফে কিমের সফরের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়।

উত্তর কোরিয়ায় শাসকের কুর্সিতে বসার পর এটাই কিমের প্রথম বিদেশ সফর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রি সোল জু। চিন যে কিমের সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটা রাজকীয় অভ্যর্থনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিমের সম্মানে বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। চিনের সরকারি সূত্র বলছে, দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে ইতিহাস বিজড়িত বেজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলসে। আলোচনার বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে অবশ্য কিছু বলা হয়নি। তবে বেজিংয়ের দাবি, পরামাণু নিরস্ত্রীকরণে কিম যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে যত না বলেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি মনযোগ দিয়ে কিম শুনেছেন চিনা প্রেসিডেন্টের কথা।

আরও পড়ুন: ডোকলাম আমাদের, শিক্ষা নিক ভারত, হুঙ্কার চিনের

আরও পড়ুন: যৌনকেচ্ছায় ফের বিদ্ধ প্রেসিডেন্ট

কিন্তু প্রশ্ন হল, আচমকা কেন চিন সফরে কিম? দেশে ফিরে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থাকে কিম জানিয়েছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। সেই সম্পর্কের খাতিরেই প্রথম বিদেশ সফরের জন্য চিনকেই বেছে নিয়েছি।’’

যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টাকে এত সরল বলে মনে করছেন না। এমনিতেই সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই কমিউনিস্ট দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। তার উপর আগামী মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠকের সম্ভাবনা ঊজ্জ্বল হচ্ছে। চিনের আশঙ্কা, সেই বৈঠক সফল হলে কিম হয়ত চিনের থেকে আরও দূরে সরে যাবেন। মনে করা হচ্ছে, রাজকীয় আতিথেয়তা দিয়ে হয়ত কিমকে কাছে টানার বার্তাই দিয়ে রাখল চিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE