Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

লাহৌরে আত্মঘাতী হামলা, লক্ষ্য পুলিশ

হকার উচ্ছেদকারী পুলিশ পিকেটকে নিশানা করেই আজ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসার আলি খান। তিনি আরও জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী রাত পর্যন্ত এ দিনের হামলার দায় স্বীকার করেনি।

ভয়াবহ: পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহ। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে গাড়িও। সোমবার লাহৌরে এই হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন। ছবি: এএফপি।

ভয়াবহ: পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহ। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে গাড়িও। সোমবার লাহৌরে এই হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
লাহৌর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীর মডেল টাউনের বাড়ির কাছেই তথ্য প্রযুক্তি পার্ক। লাহৌরের ফিরোজপুর রোডে আরফা করিম টাওয়ারে বহু তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার দফতর রয়েছে। ওই বহুতলের সামনের রাস্তা দখল করে থাকা হকারদের উচ্ছেদ করছিল পুলিশ। আচমকা সেখানেই নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক জঙ্গি। আজ বিকেলের ওই আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬ জনের। এঁদের মধ্যে ন’জন পুলিশকর্মী। আহত ৫২ জন।

হকার উচ্ছেদকারী পুলিশ পিকেটকে নিশানা করেই আজ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসার আলি খান। তিনি আরও জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী রাত পর্যন্ত এ দিনের হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, কেন ওই পুলিশ পিকেটকে আজ নিশানা করা হয়েছে, তা তাঁদের কাছেও পরিষ্কার নয়। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পথচারীও।

বিস্ফোরণস্থলের কাছেই রয়েছে পাক পঞ্জাবের প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবন। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ। বিস্ফোরণের সময় মডেল টাউনের বাসভবনেই ছিলেন তিনি। বৈঠক করছিলেন। আজকের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

আজকের বিস্ফোরণ নিজের চোখে দেখেছেন আরফা টাওয়ারের বহু কর্মী। এক তরুণী জানালেন, বিকট আওয়াজ শুনেই তিনি বাইরে ছুটে গিয়েছিলেন। তার পর দেখেন একটা ভ্যান দাউদাউ করে জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে হাহাকার আর আর্তনাদে ভরে ওঠে গোটা তথ্যপ্রযুক্তি চত্বর। রাস্তা জুড়ে লাশের স্তূপ। অ্যাম্বুল্যান্স আর পুলিশের হুটারের আওয়াজ। বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE